Bengali Paragraph Class 12 TBSC বাংলা দ্বাদশ শ্রেণীপ্রতিবেদন রচনা 

বাংলা - দ্বাদশ শ্রেণীপ্রতিবেদন রচনা 

বাংলাদ্বাদশ শ্রেণী

প্রতিবেদন রচনা  প্রশ্নের মান 4

দেশে জিএসটি আদায় কমেছে এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা

দেশে জিএসটি আদায় কমেছে

বিশেষ প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর: রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া অর্থনীতিকে যতই স্বাভাবিক ছন্দে আনতে চেষ্টা করুক না কেন একের পর এক ধাক্কায় সেই ছন্দে ফেরার আশাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। অর্থনীতি ও মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ে উদ্বিগ্ন রিজার্ভ ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এবার নতুন করে জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যানে আবার ধাক্কা খেল। ২০২২ খ্রিস্টাব্দের প্রথম মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে আশাতীত জিএসটি আদায় হয়েছিল। ১ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা আদায় হওয়া ছিল ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের পর বিগত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর ফলে অর্থমন্ত্রক মনে করেছিল যে, এবার সম্ভবত অর্থনীতির মন্দার কালো ছায়া কেটে যাবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে আগস্ট মাসে দেশে মোট জিএসটি আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্য যে, সম্প্রীতি নতুন কিছু পণ্যের ওপর জিএসটি আরোপ করা নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সরকার পক্ষের মতবিরোধ লক্ষ করা যায়। সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য নিত্যপণ্যের ওপর বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে জিএসটি চালু করা নিয়ে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনা চলছে।

অন্যদিকে সরকারের বক্তব্য হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আর সেই কমিটির সদস্য সমস্ত রাজ্য। তাই এই সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্র একা দায়ী নয়। এই পরিস্থিতিতে যেখানে নতুন পণ্যের ওপর জিএসটি ধার্য করা হয়েছে, সেখানে কেন জিএসটি আদায় কমে গিয়েছে সেটা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে।

২. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হ হ করে বাড়ছে

সংবাদ প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জুলাই : ইদানিং রান্নার তেল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হু হু করে লাগামছাড়াভাবে বেড়েই চলছে। গত চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বাজারে ভোজ্য তেল ও ডালের মূল্য একলাফে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজ ও আলুর মূল্যও। যেভাবে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তাতে ক্রেতা সাধারণ গভীর বিপাকে পড়েছে।

মহারাজগঞ্জ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে বহিঃরাজ্যে উৎসস্থলে সেই পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন বর্ধিত মূল্যে ক্রয় করে আনতে হচ্ছে। এ কারণে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বলে পাইকারি ব্যবসায়ীগণের দাবি। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীগণ এ কথা বললেও আগের মূল্যে ক্রয় করা পণ্যসামগ্রীর মূল্য কেন বাড়ছে তা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন ও ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।

বাজারে পণ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যত সরকার যেন অসহায়। রাজ্য প্রশাসন, খাদ্য দফতর বাজারে মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝেই অভিযান করে ব্যবসায়ীর দোকান ও গুদামে। নিয়ম বিহীনভাবে ব্যাবসা করলেও কালোবাজারির আশ্রয় নিলে প্রশাসন ও খাদ্য দফতর অভিযানে গিয়ে ব্যবসায়ীর দোকান ও গুদাম সিল করে দেয়। দ্রব্যসামগ্রী আটক করে, টাকা জরিমানা করে এবং ব্যবসায়ীকে শোকজ করে। কিন্তু এতসব কিছু করার পরও পণ্যসামগ্রীর মূল্য কিছু হ্রাস পাওয়ার পরিবর্তে ক্রমাগত বেড়ে আকাশ ছোঁয়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর এই মূল্য ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক মজবুত হোক ৭১-এর ভিত্তিতেই

বিশেষ প্রতিনিধি,  নয়াদিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বরঃ বদলে যাওয়া বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুপ্রতিবেশীমূলক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। বরং এই সৌহার্দ্য ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে আরও বৃদ্ধি পায় তারজন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর তারই উদাহরণ হিসেবে নতুন করে সাতটি সমঝোতা পত্রের স্বাক্ষর। ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের বৈঠকের পর আজ বারবার এই সুসম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মুখেই ওঠে এল ১৯৭১-এর প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেবাবে সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছিল বাংলাদেশ তা কখনও ভুলবে না। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছেন দু-দেশের সম্পর্কের ভিত্তি যেন হয় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের আত্মিক সম্পর্কের ইতিহাস। কোনো শক্তিই যাতে আমাদের দু-দেশের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি করতে না পারে তারজন্য আমাদের উভয় রাষ্ট্রকেই সতর্ক থাকতে হবে।

এবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং আলোচনার ইশ্যু ছিল তাতে তিস্তা ছিল না। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে বিষয়টি উদযাপন করেননি। কিন্তু দুপুরে হায়দ্রাবাদ হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের ঠিক পরে শেখ হাসিনা নিজেই বলেন আশা করি তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা যাবে।

এদিন দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় দু-দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন নয়া ব্যবস্থা কার্যকর করা। এই তালিকায় রেল, রাস্তা, নদীপথ ও বিমান পরিসেবা অন্যতম। ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ এই নতুন রেলপথ কলকাতা পর্যন্ত সম্প্রসারিত রুট হিসেবে চালু করা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি শেখ হাসিনাকে বলেছেন, আমাদের কাছে সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হল বাংলাদেশের পণ্যের বড়ো বাজার ভারত। এই আর্থিক আদান-প্রদানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামীকাল দু-দেশের শিল্প মহলের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

মুদ্রাস্ফীতি স্পর্শ করল ৭ শতাংশ

বিশেষ প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর: আবার মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে সোমবার মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ শতাংশ স্পর্শ করেছে। এই বিষয়টি অর্থনীতি ও আমজনতার কাছে এক উদ্বেগজনক। আগস্ট মাসেই খুচরো পণ্যের মূল্যসূচক দেখা যচ্ছে ৭ শতাংশ হয়েছে। সবথেকে বেশি মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে খাদ্যদ্রব্যের। শুধু খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির হার ৬.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭.৬ শতাংশ।

মূল্য বৃদ্ধির হার জুলাই মাসে ছিল ৬.৭১ শতাংশ। আশা করা হয়েছিল তা আরও হ্রাস পাবে। কিন্তু আগস্টের পরিসংখ্যান রিজার্ভ ব্যাংক ও সরকারকে চরম উদ্বেগে ফেলেছে। কেন-না আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেশ জুড়ে উৎসবের পরব চলবে। এই কয়েক মাস বাণিজ্য মহলে আর্থিক লেনদেন দেশের অর্থনীতি ও কর সংগ্রহকে বিশেষ ইতিবাচক বার্তা দেয় । প্রত্যাশা করা হয়েছিল জুলাই থেকে মূল্য বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার প্রবণতা বজায় থাকবে এবং সাধারণ মানুষের কেনাকাটা বাড়বে। কিন্তু আগস্টের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রয় প্রবণতা হ্রাস পাবে। আর তাতে জিএসটি সংগ্রহ ধাক্কা খাবে। এই আর্থিক বছরের শেষে যদি লক্ষ করা যায় মূল্যবৃদ্ধির হার, জিডিবি বৃদ্ধির হার এবং জিএসটি সংগ্রহ সবক্ষেত্রেই নৈরাশ্যজনক হয় তবে অর্থনীতির চাঙা হওয়ার প্রক্রিয়া বড়ো প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।

এম বিবি কলেজের ৭৫ বর্ষ উদযাপন সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা করো।

শুরু হল এমবিবি কলেজের ৭৫ বর্ষ উদযাপন

নিজস্ব সংবাদদাতা, আগরতলা, ৫ সেপ্টেম্বর: আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় একটি র‍্যালির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হল রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহারাজা বীর বিক্রম কলেজের ৭৫-তম বর্ষ উদযাপন উৎসব উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সহ কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। কলেজ সূত্রে জানা গেছে পাঁচ দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হবে কলেজের ৭৫-তম বর্ষ উদ্যাপন এবং উৎসবের সমাপ্তি হবে ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রীতিভোজের মাধ্যমে। রাজ্যের বিখ্যাত ও রাজন্যস্মৃতি বিজড়িত এই কলেজের ৭৫-তম বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানকে সর্বাঙ্গীণভাবে সাফল্য মন্ডিত করে তুলতে কলেজের ‘প্ল্যাটিনাম জুবিলি সেলিব্রেশন’ কোর কমিটির পক্ষ থেকে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তা ছাড়া আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে কলেজের সকল প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের স্ত্রী ও স্বামীসহ কলেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করার জন্য কোর কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে কলেজের ৭৫-তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সম্পূর্ণ কলেজ চত্বরকে আলোর রোশনাইয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত বহু প্রাক্তন উপস্থিত থাকবেন।

বর্ষণে আগরতলা জলের তলায় এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

বর্ষণে আগরতলা জলের তলায়

সংবাদ প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুলাই : শুক্রবার সারাদিন ভারী বর্ষণে শনিবারও আগরতলার বেশিরভাগ এলাকা জলের তলায়। মূলত হাওড়া নদীর জল বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞলগুলির জল কোনো উপায়েই সরানো যাচ্ছে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে যে, এদিন বিকালেই হাওড়ার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জল সরে যাওয়া তো দূরের কথা নদীর জল উল্টো বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে।

শুক্রবার রাতের পর শনিবার সকালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্য চলছে। জল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নানা স্থান থেকেই এদিন বহু দুর্গতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোট ২৯টি নৌকাকে উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে নিখোঁজ হন একজন পুরুষ সহ একজন মহিলাও। পরবর্তী সময়ে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বিটারবন এলাকার রিকশা চালক সিরাজ মিঞাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এদিন সকালেই কাটাখাল এলাকায় স্নান করতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি তিনি।

এদিকে সন্ধ্যার পর মহাকরণে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দফতরে প্রধান সচিব জানান যে, সন্ধ্যা অবধি প্রায় দু হাজারের কাছাকাছি পরিবার মোট ৩৭টি শিবিরে আশ্রয় নেয়। তা ছাড়া তিনি জানান যে, অতি বর্ষণের জন্য হাওড়া নদীর জল ১০.৮৭ মি: উচ্চতায় পৌঁছায়। তিনি জরুরি পরিস্থিতিতে জনগণের সহায়তার জন্য টোল ফ্রি ১০৭৭, আগরতলা পুর নিগমের ৯৮৬৩২০১৬৬৫, ইমারজেন্সি রেসপন্স সিস্টেমের ১১২ নম্বর, সিএম হেল্পলাইন ১৯০৫ এবং ১৮৬৩৫৯৬০৮৩ এই নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন।

আজাদি ক্যুইস্ট-এর সূচনা সম্পর্কে রচনা করো।

অনুরাগ ঠাকুর আজাদি ক্যুইস্ট-এর সূচনা করলেন

বিশেষ প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২৪ আগস্ট: আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালনের অঙ্গ হিসেবে ‘আজাদি ক্যুইস্ট’ শীর্ষক একটি অনলাইন শিক্ষামূলক গেমসের উদ্‌বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এটি প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন-সংক্রান্ত বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করতে একটি শিক্ষামূলক গেম। বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জিয়াংগা ইন্ডিয়ার সহায়তায় একটি শিক্ষামূলক মোবাইল গেম ‘আজাদি ক্যুইস্ট’-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্রা, জিয়াংগা ইন্ডিয়ার কর্ণধার কিশোর কিচলি প্রমুখ। মোবাইল গেম ‘আজাদি ক্যুইস্ট’-এর সূচনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ঠাকুর বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর শহিদদের যে অবদান তাদের স্মরণ করার উদ্দেশ্যেই এই প্রয়াস।

এই গেমটি চালু করার আর একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হল ভারতে যারা অনলাইন গেম খেলেন তাদের শিক্ষার মাধ্যমে আরও শিক্ষিত করা। শ্রী ঠাকুর মনে করেন সমাজের সব ধরনের মানুষ এই গেমের ব্যবহার করবেন এবং আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশীদার হবে।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপুদী মুর্মু-র প্রথম ভাষণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

এই সাফল্য গণতন্ত্র, বহুত্ববাদের – রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই : গরিব ঘরের কন্যা দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ওঠে এসে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আসনে বসতে পারে। এই সাফল্য হল গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের। পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করে স্বাধীনতার পর থেকে প্রথম উপজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপুদী মুর্মু সোমবার এই বার্তাই দিলেন তার প্রথম ভাষণে।এবারই প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনো মানুষ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সিংহাসনে বসলেন। রীতি অনুসারে শপথ পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা।

রাষ্ট্রপতি মর্ম বলেছেন, তার এই রাইসিনা হিলসের অট্টালিকায় আসার অর্থ হল ভারতের গরিব মানুষ যে শুধু স্বপ্ন দেখতে জানে তা নয়, বরং সেই স্বপ্ন পূরণও হয়। তিনি বলেন, আমি যে গ্রাম থেকে এসেছি সেই আদিবাসী অধ্যুষিত ওড়িশার গ্রামে কোনো প্রকার প্রাথমিক জীবন যাপনের পরিসেবা পর্যন্ত ছিল না। বিদ্যালয়ও নয়। তাই সেই যাত্রা শুরু করে আজ যেখানে এসে পৌঁছেছি সেটা প্রকৃতপক্ষে গরিব অনগ্রসর ভারতের জয়। আমার কোনো কৃতিত্ব নেই। এই সাফল্য গরিব ভারতের, গণতন্ত্রের এবং ভারতের বহুত্ববাদের। তিনি এদিন নেতাজি থেকে নেহেরু, প্যাটেল থেকে ভগৎ সিং-এর নাম উচ্চারণ করে স্মরণ করেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে। তিনি বলেছেন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫-তম বর্ষে আমার মতো কোনো এক প্রান্তিক জনজাতির, গরিব ঘরের মানুষের এই পর্যন্ত আসা আসলে ভারত আত্মারই এক জয়যাত্রা। এই গণতন্ত্রকে আমি প্রণাম জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *