CLASS 12 POLITICAL SCIENCE HALF YEARLY SUGGESTION 2024 25

CLASS 12 POLITICAL SCIENCE HALF YEARLY SUGGESTION 2024 25

CLASS 12 POLITICAL SCIENCE HALF YEARLY SUGGESTION 2024 25

HALF YEARLY SUGGESTION 2024-25

SUBJECT- POLITICAL SCIENCE

CLASS- 12

PART – A প্রথম ভাগ : সমকালীন বিশ্ব রাজনীতি

 অধ্যায় 1 – ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কাল [The Cold War Era]

MCQ=1

প্রতিটি প্রশ্নের মান:- ১

1.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমিউনিস্ট শাসিত রাষ্ট্র কিউবা আক্রমণ করে ফিদেল কাস্ত্রোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে বলে প্রাক্তন সোভিয়েত রাশিয়ার নেতারা মনে করেছিলেন-(i) 1960 খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে(ii) 1960 খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে(iii) 1961 খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে(iv) 1962 খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে উত্তর:(iii) 1961 খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে।

2.নিকিতা ক্রুশেভে ছিলেন(i) সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা(ii) ঘানার নেতা(iii) ইন্দোনেশিয়ার নেতা(iv) যুগোশ্লোভিয়ার নেতা  উত্তর:(i) সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা।

3.সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা নিকিতা ক্রুশেভ কিউবাতে প্রচুর পরিমাণে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেন-(i)1960 খ্রিস্টাব্দে(ii) 1961 খ্রিস্টাব্দে(iii)1962 খ্রিস্টাব্দে(iv)1963 খ্রিস্টাব্দে উত্তর:(iii) 1962 খ্রিস্টাব্দে।

4.কিউবায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি আমেরিকা জানতে পারে(i) এক সপ্তাহ পরে(ii) দুই সপ্তাহ পরে(iii) তিন সপ্তাহ পরে(iv) চার সপ্তাহ পরে উত্তর:(iii) তিন সপ্তাহ পরে।

5.আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজগুলিকে কিউবার দিকে অগ্রগামী সোভিয়েত রাশিয়ায় যে-কোনো জাহাজের গতিরোধ করার নির্দেশ দিলেন(i) ক্রুশ্চেভ (ii) কাস্ত্রো (iii) টিটো  (iv) কেনেডি উত্তর:(iv) কেনেডি।

6.NATO ছিল(i) বারোটি রাষ্ট্রের একটি সম্মিলিত সংগঠন(ii) দশটি রাষ্ট্রের একটি সম্মিলিত সংগঠন(iii) আটটি রাষ্ট্রের একটি সম্মিলিত সংগঠন(iv) ছয়টি রাষ্ট্রের একটি সম্মিলিত সংগঠন উত্তর: (i) বারোটি রাষ্ট্রের একটি সম্মিলিত সংগঠন।

7.ন্যাটো গঠিত হয়(i) ৩ মার্চ ১৯৫০(ii) ৪ এপ্রিল ১৯৪৯(iii) ৫ জুন ১৯৫৫(iv) এগুলির কোনোটিই নয় উত্তর: (ii) ৪ এপ্রিল ১৯৪৯।

8.ওয়ারশ চুক্তি নামে সংগঠনটি অস্তিত্বলাভ করে-(i) 1953 খ্রিস্টাব্দের 13 মে(ii) 1954 খ্রিস্টাব্দের 12 মে (iii) 1955 খ্রিস্টাব্দের 14 মে(iv) 1956 খ্রিস্টাব্দের 18 মে উত্তর: (iii) 1955 খ্রিস্টাব্দের 14 মে।

9.কোরিয়ার সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে(i) হ্যারিট্রুম্যান (ii) জওহরলাল নেহরু  (iii) ব্রেজনেভ (iv) রিচা নিকসন উত্তর:(ii) জওহরলাল নেহরু।

10.কঙ্গো সংকটে মীমাংসাকারীর ভূমিকা পালন করে(i) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মহাসচিব (ii) ভারতের প্রধানমন্ত্রী (iii) আমেরিকা রাষ্ট্রপতি (iv) সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপতি উত্তর 🙁i) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মহাসচিব।

11.সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ বাণিজ্য এবং উন্নয়ন বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে (UNCTAD) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে-(i) 1972 খ্রিস্টাব্দে(ii) 1977 খ্রিস্টাব্দে(iii) 1974 খ্রিস্টাব্দে(iv) 1975 খ্রিস্টাব্দে উত্তর:(i) 1972 খ্রিস্টাব্দে।

12.ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে 20 বছর মেয়াদি একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে(i) 1970 খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে(ii) 1970 খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে(iii) 1971 খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে(iv) 1971 খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর:(iii) 1971 খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে।

13.সীমিত পরমাণু পরীক্ষা চুক্তিটি কার্যকর হয়-(i) 1963 খ্রিস্টাব্দের 10 অক্টোবর(ii) 1963 খ্রিস্টাব্দের 11অক্টোবর(iii) 1963 খ্রিস্টাব্দের 12 অক্টোবর(iv) 1963 খ্রিস্টাব্দের 13 অক্টোবর উত্তর:(i) 1963 খ্রিস্টাব্দের10অক্টোবর।

14.পরমাণু প্রসাররোধ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়(i) 1968 খ্রিস্টাব্দের 2 জুন(ii) 1968 খ্রিস্টাব্দের 26 জুন(iii) 1968 খ্রিস্টাব্দের 1 জুলাই(iv) 1968 খ্রিস্টাব্দের 25 জুলাই উত্তর:iii) 1968 খ্রিস্টাব্দের 1 জুলাই।

 15.পরমাণু প্রসাররোধ চুক্তিটি কার্যকর হয়(i) 1968 খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর(ii) 1970 খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি(iii) 1970 খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি(iv) 1970 খ্রিস্টাব্দের ৮ মার্চ উত্তর:(iv) 1970 সালের ৮ মার্চ।

16.SEATO প্রতিষ্ঠিত হয় (i) ৪ সেপ্টেম্বর 1954(ii) 9 সেপ্টেম্বর 1954(iii) 8 সেপ্টেম্বর 1955(iv) 10 সেপ্টেম্বর 1955 উত্তর 🙁i) ৪ সেপ্টেম্বর 1954

 17.CENTO প্রতিষ্ঠিত হয়।(i) 21 ফেব্রুয়ারি 1955(ii) 22 ফেব্রুয়ারি 1965(iii) 23 ফেব্রুয়ারি 1955(iv) 24 ফেব্রুয়ারি 1955 উত্তর:(iv) 24 ফেব্রুয়ারি 1955

 18.জোসিপ ব্রোজ টিটো ছিলেন(i) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী(ii) যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি(iii) যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি(iv) ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি উত্তর 🙁iii) যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি।

 19.সুকর্নো ছিলেন-(i) ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি(ii) জাপানের রাষ্ট্রপতি(iii) শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি(iv) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উত্তর:(i) ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি।

 20.ইজিপ্টের শাসক ছিলেন(i) নক্রুমা(ii) গালাম আব্দেল নাসের(iii) সুকনো(iv) নিকসন উত্তর:(ii) গালাম আব্দেল নাসের 

Watch Video and Visit my Website StudyTripura.Com

নীচের প্রশ্নগুলি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও:1×2=2

1.ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কাল কত বছর ছিল ?

উ: ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কাল ছিল 1945 থেকে 1991 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় 46 বছর।                

 2.ঠান্ডা যুদ্ধের অন্যতম প্রবক্তা কে?

 উত্তর: ঠান্ডা যুদ্ধের অন্যতম প্রবক্তা হলেন জর্জ এফ কেন্ন

 3.ঠান্ডা যুদ্ধের অন্যতম একটি নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশ কোনটি ছিল ?

 উ: ঠান্ডা যুদ্ধের অন্যতম একটি নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।অপরটি হলো সোভিয়েত ইউনিয়ন।

4.Cold War (ঠান্ডা যুদ্ধ) শব্দটি প্রথম কে প্রয়োগ করেন ?

ঊ: Cold War (ঠান্ডা যুদ্ধ)শব্দটি প্রথম প্রয়োগ করেন বার্নাড বারুচ।

5. NATO-র পুরো নাম কী?

উ: NATO-র পুরো নাম হল North Atlantic Treaty Organisation |

6. কোথায় প্রথম ঠান্ডা লড়াইয়ের সূত্রপাত হয় ?

ঊ: ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রথম সূচনা হয় কিউবার মিশাইল সংকটের মধ্য দিয়ে।

7. The Cold War গ্রন্থটির লেখক কে ?

ঊ. The Cold War গ্রন্থটির লেখক হলেন ওয়াল্টার লিপম্যান।

8. নির্জোট আন্দোলনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয় ?

উ: বেলগ্রেডে জোটনিরপেক্ষ নির্জোট আন্দোলনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।              2

*নির্জোট আন্দোলনের একজন অন্যতম প্রবক্তা হলেন পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু।

9.কবে নিজোর্ট আন্দোলনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তর: 1961 খ্রিস্টাব্দে নির্জোট আন্দোলনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

10.কে প্রথম জোট নিরপেক্ষ শব্দটি ব্যবহার করেন?

উত্তর: ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি কে মেনন প্রথম জোট নিরপেক্ষ শব্দটি ব্যবহার করেন।

11. কিউবা সংকটের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন ?

ঊ: কিউবা সংকটের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি।

 12. কিউবা সংকটের সময় কিউবার প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?

ঊ: কিউবা সংকটের সময় কিউবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। 

13.কবে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: 1959 খ্রিস্টাব্দে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। 

14. তৃতীয় বিশ্ব শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন?

উত্তর: 1952 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি জনসংখ্যা বিষয়ক পরিসংখ্যাবিদ Alfred Sauvy সর্বপ্রথম তৃতীয় বিশ্ব শব্দটি ব্যবহার করেন। 

15. দাঁতাত কী ?

ঊ: দাঁতাত হল ফরাসি শব্দ, যার অর্থ উত্তেজনা প্রশমন করা বা পুরোনো বন্ধুকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা।

16. দাঁতাত নীতির প্রবক্তা কে ?

ঊ: দাঁতাতের প্রবক্তা ছিলেন হেনরি কিসিংগার।

17.কে বার্লিন অবরোধ শুরু করে ?

উঃ সোভিয়েত ইউনিয়ন বার্লিন অবরোধ শুরু করে।

18. SEATO-এর পুরো নাম কী ?

উঃ SEATO শব্দটির সম্পূর্ণ নাম হল South East Asian Treaty Organisation.                                       3

19.কবে ট্রুম্যান নীতি ঘোষিত হয় ?

ঊ: 12 মাৰ্চ 1947 খ্রিস্টাব্দে ট্রুম্যান নীতি ঘোষিত হয়।

20.CENTO এর সম্পূর্ণ নাম লেখো।

উত্তর; Central Treaty Organisation.

21.’UNCTAD’ এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

উত্তর: ‘UNCTAD’ এর সম্পূর্ণ নাম হল-United Nation Conference on Trade and Development.

 22. ‘CTBT’ এর সম্পূর্ণ নাম কী?

উত্তর: ‘CTBT” এর সম্পূর্ণ নাম হল Comprehensive Test Ban Treaty

CLASS 12 POLITICAL SCIENCE HALF YEARLY SUGGESTION 2024 25

 রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর: প্রতিটি প্রশ্নের মান 5×1=5

1.কিউবা সংকটের ফলাফল আলোচনা করো।***

উত্তর: 1961 খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে প্রাক্তন সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার নেতারা এই ভেবে আশঙ্কিত ছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমিউনিস্ট শাসিত রাষ্ট্র কিউবা আক্রমণ করে ফিদেল কাস্ত্রোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে। কিউবার রাষ্ট্রপতি ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে গঠিত জোটের সদস্য রাষ্ট্র কিউবা সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক সব রকমের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সাহায্য পেত। সোভিয়ত ইউনিয়ন নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করতে সিদ্ধান্ত নেন।তাই 1962 খ্রিস্টাব্দে তিনি কিউবাতে প্রচুর পরিমাণে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেন।এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো আশঙ্কিত হয়ে পড়ে। কেননা, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতি নিকটে ছিল, যা আমেরিকার সামরিক ঠিকানা এবং শহরগুলির দ্বিগুণ পরিমাণকে আক্রমণের আওতায় নিয়ে আসে। কিউবার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের প্রায় তিন সপ্তাহ পরে আমেরিকা এ বিষয়ে অবগত হয়।সেই সময়কার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি এবং তাঁর উপদেষ্টা মণ্ডলী এমন কোনো প্রতিশোধমূলক কাজ করতে অস্বীকৃতি জানলেন যাতে দুই দেশ সর্বব্যাপী পরমাণু যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে। তবে তারা যে-কোনো উপায়ে কিউবা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু অস্ত্রগুলিকে সরিয়ে নিতে ক্রুশ্চেভকে বাধ্য করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। কেনেডি আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজগুলিকে কিউবার-দিকে অগ্রগামী সোভিয়েত ইউনিয়নের যে-কোনো জাহাজের গতিরোধ করতে নির্দেশ দেন। এই পদক্ষেপ ছিল আমেরিকা কর্তৃক সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতি চরম সতর্কতা। এই আসন্ন এবং অনিবার্য সংঘর্ষই কিউবার মিসাইল সংকট নামে পরিচিত। এই সময়ে দুটি দেশের মধ্যে তেমন একটি যুদ্ধের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল যার ফলে সমগ্র বিশ্বের স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দেয়। কেননা এই যুদ্ধের পরিণতি হত অত্যন্ত ভয়াবহ। শেষ পর্যন্ত দুই দেশ যুদ্ধ এড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সমগ্র বিশ্ব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। চুক্তি অনুসারে সোভিয়েত জাহাজগুলি সে স্থান ত্যাগ করে। কিউবা সংকটের স্থায়িত্বকাল খুবই সামান্য হলেও এটি ছিল অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিংসার বিরুদ্ধে সংযম, শুভবুদ্ধি এবং মানবতাবোধ জয়ী হয়। 

2.ঠান্ডা যুদ্ধকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ভারতের বিদেশনীতি কী ছিল? তোমার মতে এই নীতি কি ভারতের স্বার্থ সুরক্ষার সহায়ক ছিল ?***

উত্তর : ঠান্ডা যুদ্ধকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ভারতের বিদেশনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল-

(i) জোট নিরপেক্ষতা নীতি : ঠান্ডা যুদ্ধকালীন সময়ে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন কোনো রাষ্ট্রের সাথেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার বিদেশ নীতি গ্রহণ করেনি। বরং সে সময়ে ভারতের বিদেশ নীতির মূল স্তম্ভ ছিল জোট নিরপেক্ষতা নীতির অনুসরণ।

(ii) সমদূরত্ব বজায় রাখা : ঠান্ডা যুদ্ধকালীন সময়ে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত ন্যাটোর মতো সামরিক জোট এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন পরিচালিত ওয়ারশ সামাজিক জোটে অন্তর্ভুক্ত না হয়ে উভয় জোট থেকেই সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করেছিল।

(iii) স্বাধীন বিদেশনীতি : ঠান্ডা যুদ্ধকালীন সময়ে ভারত সম্পূর্ণভাবে সোভিয়েত ঘেঁষা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘেঁষা পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ না করে স্বাধীন বিদেশনীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।এরফলে সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত ভারত তার দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে উভয় থেকেই প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতার দ্বারা উন্মোচন করে রেখেছিল।

(iv) পরস্পর বিরোধী মহাজোটের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ : ভারত ঠান্ডা যুদ্ধকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক গঠিত পরস্পর বিরোধী মহাজোটের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না হয়েও উভয়ের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ রক্ষা করে চলত। এরফলে ভারত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মীমাংসাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

যেমন, 1950-দশকে ভারত, কোরিয়া সংকটের সময় মীমাংসাকারীর ভূমিকা নিয়েছিল।

3.ঠান্ডা যুদ্ধ অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এই দুটোকে জন্ম দিয়েছে। এই দুটো বিষয়ের পেছনে কারণগুলি কী ছিল ?

উত্তর : ঠান্ডা যুদ্ধ যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এই দুটো বিষয়ের জন্ম দিয়েছে, এর পেছনে কারণগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল।

অস্ত্র প্রতিযোগিতা : অস্ত্র প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি হল—                                                         4

(i) দুই মহাশক্তিধর দেশের লড়াই: ঠান্ডা যুদ্ধের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল বিশ্ব রাজনীতিতে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামক দুই মহাশক্তিধর দেশের কর্তৃত্ব লড়াই।

(ii) মতাদর্শগত বিরোধ: দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস, মহাদর্শগত বিরোধ, সামরিক উত্তেজনা,নিজ জোটভুক্ত রাষ্ট্রসমূহকে সামরিক সহায়তা ইত্যাদি কারণেও অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ : দুই মহাশক্তি রাষ্ট্রের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পেছনে কারণগুলি হল

(i) শত্রুপক্ষের অবর্ণনীয় ক্ষতিসাধন : পরমাণু যুদ্ধ সংগঠিত হলে দুপক্ষই এত ক্ষতির সম্মুখীন হবে যে,তাতে কে জয়ী বা কেন পরজিত তা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাছাড়া তাদের একজন অন্যজনকে যদি আক্রমণ করেএবং শত্রুর পরমাণুগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় তবু অন্যজনের হাতে এমন পরিমাণের পারমাণবিক অস্ত্র মজুত থাকবে যে, যা দিয়ে সে শত্রুপক্ষের অবর্ণনীয় ক্ষতি সাধন করতে পারবে।

(ii) প্রতিরোধমূলক সম্পর্ক: দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যখন প্রতিরোধমূলক সম্পর্ক বজায় রয়েছে তখন সে অবস্থায় যুদ্ধের পরিণতি হবে চরম ধ্বংসাত্মক। সুতরাং এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন মিলিতভাবে কোনো কোনো প্রকারের পারমাণবিক ও অপারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারকে সীমিত কিংবা সমাপ্ত করার ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারা এটাও সিদ্ধান্ত নেয় যে ‘অস্ত্র সংবরণ নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে।1960 খ্রিস্টাব্দের শুরুর সময় থেকে পরবর্তী এক দশকের মধ্যে উভয় পক্ষ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এগুলি হল সীমাবদ্ধ পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি (Limited Test Ban Treaty), পরমাণু প্রসার রোধ চুক্তি (Nuclear Non Proliferation Treaty) এবং এনটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি(Anti-Ballistic Missile Treaty)। সুতরাং পরবর্তীতে মহাশক্তিধর দেশগুলি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কয়েক প্রস্থ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আরও কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

CLASS 12 POLITICAL SCIENCE HALF YEARLY SUGGESTION 2024 25

CLASS 12 POLITICAL SCIENCE HALF YEARLY SUGGESTION 2024 25

অধ্যায় 2. দুই মেরুর সমাপ্তি

সঠিক উত্তরটি বাছাই কর 1×1=1

১।মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতায় আসে(i) ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে(ii) ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে (iii) ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে (iv) ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে উত্তর: (i) ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে।

২।রাশিয়ার মুদ্রার নাম হল(i) নিউকিন(ii) রুপি (iii) রুবল (iv) লিটার উত্তর: (iii) রুবল।

৩।সেভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা(i) লেনিন(ii) গর্বাচেভ (iii) স্তালিন (iv) ইয়েলৎসিন উত্তর: গর্বাচেভ

৪। দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন’-গ্রন্থের লেখক(i) জন রিড (ii) লেনিন(iii) স্তালিন (iv) গর্ভাচেভ উত্তর: (i) জন রিড।

৫।সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থার নাম(i) RAW (ii) RAF (iii) ISI (iv) KGBউত্তর: (iv) KGB

৬।FDI-এর সম্পূর্ণ নাম হল(i) Foreign Daily Investment (ii) Foreign Direct Investment(iii) First Development Investment(iv) কোনোটি নয় উত্তর🙁ii) Foreign Direct Investment

৭।বার্লিন প্রাচীর টিকে ছিল (i) ২৫ বছর(ii) ২৮ বছর(iii) ৩০ বছর(iv)২৬ বছর উত্তর: (ii) ২৮ বছর।

*এটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে *প্রাচীরটি ১৫০ কিমি দীর্ঘ ছিল।                                       5

৮।সোভিয়েত বিভাজনের জন্য দায়ী করা হয় (i) মিখাইল গর্বাচেভকে(ii) ভ্লাদিমির লেনিনকে(iii) জোসেভ স্ট্যালিনকে (iv) ইয়েলেৎসিনকে  উত্তর🙁i) মিখাইল গর্বাচেভকে।

৯।এখন সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরসূরি হিসেবে স্বীকার করা হয়(i) বেলারুশকে(ii) ইউক্রেনকে(iii) লাটভিয়াকে(iv) রাশিয়াকে উত্তর🙁iv) রাশিয়াকে

১০ সোভিয়েত ইউনিয়নের একত্রীকরণে নেতৃত্ব দেন। (i) জোসেফ স্ট্যালিন | (ii) লেনিন (iii) লিউলিড ব্রেজনেভ (iv) মিখাইল গর্বাচেভ   উত্তর: (i) জোসেফ স্ট্যালিন।

১১.উজবেকিস্তানের রাজধানীর নাম(i) মস্কো(ii) বার্লিন(iii) তাসখন্দ(iv) লন্ডন উত্তর: (iii) তাসখন্দ।  

নীচের প্রশ্নগুলি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও:1×1=1                                                                                       6

1. রাশিয়ার প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির নাম কী

উত্তর: রাশিয়ার প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির নাম হল বরিস ইয়েলেৎসিন।

2. মিখাইল গর্বাচেভ কর্তৃক প্রবর্তিত দুটি সংস্কারের নাম লেখো।

উত্তর: মিখাইল গর্বাচেভ কর্তৃক প্রবর্তিত দুটি সংস্কার হল—গ্লাসনস্ত এবং পেরেস্ত্রৈকা।

3. ‘পেরেস্ত্রৈকাকথার অর্থ কী?

উত্তর: ‘পেরেস্ত্রৈকা’ কথার অর্থ হল পুনর্গঠন।

4.‘গ্লাসনস্তকথার অর্থ কী?

উত্তর: ‘গ্লাসনস্ত’ কথার অর্থ হল মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত পরিবেশ বা স্বচ্ছতা।

5. কবে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘটে?

উত্তর: ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাপ্তি ঘটে

6. কবে রাশিয়া NATO-এর অন্তর্ভুক্ত হয় ?

উত্তর: ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়া NATO-এর অন্তর্ভুক্ত হয়।

7. ‘জমি চাই, রুটি চাই’—কোন্ বিপ্লবের শ্লোগান?

উত্তর: ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর বিপ্লবের স্লোগান ছিল ‘জমি চাই, রুটি চাই’।

8. সোভিয়েত ইউনিয়নের তিনটি বাল্টিক প্রজাতন্ত্রের নাম করো।

উত্তর: সোভিয়েত ইউনিয়নের তিনটি বাল্টিক প্রজাতন্ত্রের নাম হল এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়া।

9. কবে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

10. গর্বাচেভ কখন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সচিব পদের নির্বাচিত হন?              7

উত্তর: গর্বাচেভ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে সোভিয়েত ইউনিয়নের  কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সচিব পদের নির্বাচিত হন।

11. ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের সময় সোভিয়েত নেতা কে ছিলেন?

উত্তর: ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ।

12. সোভিয়েত ইউনিয়নের সংসদের নাম কী?

উত্তর: সোভিয়েত ইউনিয়নের সংসদের নাম ডুমা

13. কার কৃতিত্বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন জয়লাভ করে ?

উত্তর: জোসেফ স্ট্যালিনের কৃতিত্বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন জয়লাভ করে।

14. সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৩০এর দশকে ভয়াবহ সন্ত্রাসের জন্য কাকে দায়ী করা হয় ?

উত্তর: সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৩০-এর দশকে ভয়াবহ সন্ত্রাসের জন্য জোসেফ স্ট্যালিনকে দায়ী করা হয়।

15. এশিয়ার সমষ্টিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থার (Asian Collective Security System)-এর প্রস্তাবক কেছিলেন?

উত্তর: এশিয়ার সমষ্টিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থার (Asian Col lective Security System)- এর প্রস্তাবক ছিলেন লিওনিড ব্রেজনেভ।

16. পশ্চিমা বিশ্বের সাথে কে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেরনীতি গ্রহণ করেন?

উত্তর: নিকিতা ক্রুশ্চেভ পশ্চিমা বিশ্বের সাথে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি গ্রহণ করেন।

17. কে সোভিয়েত ইউনিয়নে অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির ঘোষণা করেন?

উত্তর: মিখাইল গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

18. রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংকের নাম কী ?

উত্তর: রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংকের নাম হল ইনকাম ব্যাংক।

19. রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র বাজারের নাম কী ?

উত্তর: রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র বাজারের নাম হল ভারত।

20. মহাকাশ গবেষণায় কোন্ রাষ্ট্রকে ক্রয়োজনিক রকেট দিয়ে রাশিয়া সাহায্য করেছে?

উত্তর: মহাকাশ গবেষণায় রাশিয়া ক্রয়োজনিক রকেট দিয়ে ভারতকে সাহায্য করেছে ভারতকে সাহায্য করেছে।

21. লেনিনের উত্তবসুরির নাম কী ?

উত্তর: লেনিনের উত্তরসুরির নাম জোসেফ স্ট্যালিন।

নীচের প্রশ্নগুলি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও:(Word Limit 20 -30) 2×1=2

১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদী অর্থনীতি ও সোভিয়েত অর্থনীতির মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদী অর্থনীতি ও সোভিয়েত অর্থনীতির মধ্যে দুটি পার্থক্য হল –

(i) অর্থনৈতিক ব্যবস্থাব ক্ষেত্রে পার্থক্য: সোভিয়েত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ছিল, পুঁজিবাদ বিরোধী। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুঁজিবাদ ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।

(ii) ব্যক্তিগত সম্পত্তি: সোভিয়েত অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অস্তিত্ব নেই। আর বেসরকারি মালিকানা এবং হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল বৈশিষ্ট্য হল ব্যক্তিগত সম্পত্তি।

 2. অভিঘাত থেরাপি কী?

উত্তর: সোভিয়েতের বিভাজনে সাম্যবাদের ধারণা বিপর্যস্ত হয়। সোভিয়েত শিবিরের অন্তর্ভুক্ত বেশিরভাগ রাষ্ট্রেই স্বৈরাচারী সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় রূপান্তর ঘটে। তবে এই রূপান্তরের পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। রাশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের এরূপ রূপান্তরের যে পদ্ধতি বিশ্ব ব্যাংক এবং IMF দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাকে ‘অভিঘাত থেরাপি’ বলে।

3. অভিঘাত থেরাপির যে-কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর: অভিঘাত থেরাপির দুটি বৈশিষ্ট্য হল –                                       8

(i)সোভিয়েত যুগে নির্মিত সকল অবকাঠামো থেকে সমূলে বেরিয়ে আসা।

(ii) সম্পত্তির মালিকানার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মালিকানার প্রাধান্য বিস্তার করা।

4. সোভিয়েত ইউনিয়নে গর্বাচেভ যে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেন তার দুটি কারণ লেখো।

উত্তর: সোভিয়েত ইউনিয়ন গর্বাচেভ যে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেন তার দুটি কারণ হল

(i) তথ্য প্রযুক্তি : পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান তথ্য ও প্রযুক্তি পরিকাঠামো উন্নয়নের তুলনায় সোভিয়েত ইউনিয়ন অনেক পেছনে ছিল।

(ii) রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রত্যাশা : দেশের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়ন কখনও পশ্চিমা দেশগুলির সমকক্ষ হতে পারেনি।

8. সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভাজনের পেছনে যে-কোনো দুটি কারণ লেখো।

উত্তর: সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভাজনের পেছনে দুটি কারণ হল –                          9

(i) রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি দুর্বলতা:

সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির দুর্বলতা সেখানকার জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা | । পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং এটাই ছিল সোভিয়েত ব্যবস্থা পতনের অন্যতম কারণ।

(ii) অর্থনৈতিক মন্দা : দীর্ঘ বছর ধরে অর্থনৈতিক | মন্দা ভোক্তা সংকটকে গভীরতর করেছে। যার ফলে সোভিয়েত ! সমাজের বিশাল সংখ্যক মানুষ চলমান ব্যবস্থা সম্পর্কে  প্রকাশ্যে সন্দেহ ও জিজ্ঞাসা শুরু করে।

5. পেরেস্ত্রৈকা কী?

উত্তর: গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিউনের কমিউনিস্ট পার্টির ২৭-তম কংগ্রেসে যে সংস্কার নীতি ঘোষণা করেছিলেন তারমধ্যে একটি অন্যতম হল পেরেস্ত্রৈকা। পেরেস্ত্রৈকা শব্দের অর্থ হল পুনর্গঠন। এর মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়নে পশ্চিমা রাষ্ট্রীয় ধাঁচের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানো হয়। যেমন  উৎপাদন ব্যবস্থার পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রের সুযোগও সম্প্রসারিত করা হয়।

6. দ্বিতীয় বিশ্ব বা সমাজতান্ত্রিক শিবির বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সোভিয়েত সেনাবাহিনী পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিকে ফ্যাসিবাদী শাসনের হাত থেকে মুক্ত করে ওই দেশগুলি সোভিয়েতের অনুকরণে প্রতিষ্ঠিত করে। এই দেশগুলি সম্মিলিতভাবে ‘দ্বিতীয় বিশ্ব’ বা সমাজতান্ত্রিক শিবির নামে পরিচিতি লাভ করে।

7. গ্লাসনস্ত কী?

উত্তর:  গ্লাসনস্ত শব্দের অর্থ হল খোলামেলা নীতি বা মুক্ত আলোচনা। এর মাধ্যমে গর্বাচেভ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ উন্মোচিত করেন।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর প্রতিটি প্রশ্নের মান :

1.সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পশ্চাতে মিখাইল গর্বাচেভ কী পরিমাণে দায়ী ছিলেন? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।***

অথবা, তুমি কি মনে কর যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের জন্য মিখাইল গর্বাচেভ দায়ী ছিলেন? যুক্তি দেখাও।***

উত্তর। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পশ্চাতে গর্বাচেভের দায়িত্ব: সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় এর রাষ্ট্রপতি তথা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ। তাই গর্বাচেভকে সোভিয়েত ব্যবস্থার পতনের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। সোভিয়েতের পতনে গর্বাচেভের দায়িত্ব হল—

(i)সংস্কারমূলক কর্মসূচির প্রবর্তন: গর্বাচেভ সোভিয়েত ব্যবস্থার সংস্কাররূপে ‘গ্লাসনস্ত’ এবং ‘পেরেস্ত্রৈকা’ নীতির প্রবর্তন করেন। কিন্তু এই দ্বিবিধ নীতি সোভিয়েত ব্যবস্থার অন্তস্থিত সংকটসমূহকে ঘনীভূত করে সোভিয়েতের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল।

(ii) বিকল্প পুনর্গঠনমূলক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি: গর্বাচেভ তাঁর সংস্কারের মাধ্যমে সোভিয়েত অর্থনীতি ও রাজনীতিকে বিকশিত করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রবর্তিত সংস্কার বিকাশের পরিবর্তে দীর্ঘদিনের পুরোনো ব্যবস্থাকে ভেঙে দিলেও তিনি বিকল্প কোনো পুনর্গঠনমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন। ফলে তাঁর সংস্কার কার্যক্রমে ধ্বংসাত্মক ও নেতিবাচক হয়ে উঠেছিল।

(iii)পুঁজিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা: অনেকের মতে, গর্বাচেভ সোভিয়েত ব্যবস্থার সংস্কারের অজুহাতে এবং পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে উদারীকরণের পশ্চিমি পথে হাঁটা শুরু করেন। এক্ষেত্রে বলা হয়, পুঁজিবাদের পূজারির ছদ্মবেশে সাম্যবাদী গর্বাচেভ গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে, মার্কিন ইচ্ছানুসারে সোভিয়েত রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেন, আর এই অভিপ্রায়ে তিনি ‘গ্লাসনস্ত’ এবং ‘পেরেস্ত্রৈকা’ নীতির উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করেছেন।

(iv)গর্বাচেভ ইয়েলেৎসিন বিরোধ: বরিস ইয়েলেৎসিনের রুশ যুক্তরাষ্ট্রের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই গর্বাচেভের সঙ্গে তাঁর বিরোধের সূত্রপাত হয়। এই বিরোধের ফলশ্রুতিতে 1991 খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ইয়েলেৎসিনের নেতৃত্বে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেন—এই তিনটি প্রজাতন্ত্র সোভিয়েত রাশিয়ার পতন ঘোষণা করে। 25 ডিসেম্বর গর্বাচেভ পদত্যাগ করলে আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, গর্বাচেভের আমলে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটলেও সোভিয়েত ব্যবস্থার ভাঙনের জন্য গর্বাচেভকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা যুক্তিযুক্ত হবে না। কেননা তিনি সার্বিক বিচারে সোভিয়েত ব্যবস্থার ভাঙন চাননি। আর এ কথাও বলা যায় যে, কোনো একটি ব্যবস্থার ভাঙনের জন্য এককভাবে কেউ দায়ী থাকতে পারে না

10

2. সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভাজনের ফলাফল সংক্ষেপে লেখো।***

উত্তরঃ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভাজনের ফলাফলগুলি হল—

(i) বিশ্বশান্তির সম্ভাবনা বেড়ে ওঠে: সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে ঠান্ডাযুদ্ধকালীন সহিংসতার সমাপ্তি ঘটে। দু-শিবিরের সামরিক প্রতিযোগিতা, পরমাণু অস্ত্রের মজুত, সামরিক জোটের অস্তিত্ব ইত্যাদির অবসানের ফলে বিশ্ব শান্তির সম্ভাবনা বেড়ে ওঠে।

(ii)একক মহাশক্তিধরের আভির্ভাব: সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এককভাবে মহাশক্তিধর দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।

(iii) পূঁজিবাদী অর্থনীতির প্রধান্য: সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতায় পুঁজিবাদী অর্থনীতি আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থায় প্রাধান্য বিস্তার শুরু করে।

(iv) বহু নতুন রাষ্ট্রের আবির্ভাব: সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় নতুন ভূমিকা গ্রহণকারী বহু রাষ্ট্রের আবির্ভাব হয়।

3. সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভাজনের টি কারণ লেখো।

উত্তরঃ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে লেনিনের হাত ধরে বলশেভিক বিপ্লবের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়। কিন্তু বিংশ শতকের শেষ দশকের শুরুতে রাষ্ট্রটির ভাঙন ঘটে। এর চারটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো-

(i)রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি দুর্বলতা : সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির দুর্বলতা সেখানকার জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং এটাই ছিল সোভিয়েত – ব্যবস্থা পতনের অন্যতম কারণ।

 (ii) অর্থনৈতিক মন্দা : দীর্ঘ বছর ধরে অর্থনৈতিক মন্দা সোভিয়েত ব্যবস্থার সংকটকে গভীরতর করেছে। যার ফলে সোভিয়েত সমাজের বিশাল সংখ্যক মানুষ চলমান ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রকাশ্যে সন্দেহ ও জিজ্ঞাসা শুরু করে।

(iii) চলমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ব্যর্থতা: সোভিয়েত অর্থনৈতিক উৎসের বিশাল অংশই পরমাণু ও সামরিক অস্ত্রাগার ব্যবস্থাপনা এবং পূর্ব ইউরোপে ও নিজ সীমানার মধ্যে (বিশেষ করে পাঁচটি মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রে) অনুগামী রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠায় ব্যয় করা হত। এরফলে দেশের অর্থনীতি বিশাল চাপের সম্মুখীন হয় এবং চলমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ব্যর্থ হয়।

(iv) তথ্য প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনুন্নত : সোভিয়েত ইউনিয়ন উৎপাদন, তথ্য, প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামোগত বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলির তুলনায় অনেক পেছনে ছিল।

4. সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ভারতের ওপর কী প্রভাব পড়েছিল?                                                          11

উত্তরঃ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ভারতের ওপর প্রভাব ছিল ব্যাপক ও বহুবিধ। যেমন—

(i) মার্কিন ঘেষা পররাষ্ট্র নীতিঃ ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন আধিপত্য বিস্তারের যুগ শুরু হয়। এ সময়ে ভারত মুখে জোট নিরপেক্ষতার কথা বললেও কার্যত মার্কিন ঘেষা পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে চলেছে।

 (ii) মার্কিন আক্রমনকে সমর্থন : পূর্বে ভারত কোনো রাষ্ট্রের ওপর মার্কিন আক্রমণের বিরোদ্ধে যেভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হত, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তা আর লক্ষ করা যায়নি। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের আক্রমণে ভারত সমর্থনও করেছে।

(iii)‘গ্যাট চুক্তি’-তে ভারতের ভূমিকা : ‘গ্যাট চুক্তি’ তৃতীয় বিশ্বের সম্মুখে এক ভয়ংকর বিপদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও ভারত পূর্বের মতো তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেনি।

(iv) অর্থনীতিতে প্রভাব: সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ভারতের অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব অতিমাত্রায় লক্ষ করা যায়। যেমন—ভারত সে সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার ও বিশ্ব ব্যাংকের নির্দেশে উদারীকরণ সরকারি ক্ষেত্রে ভরতুকি প্রত্যাহার প্রভৃতি মেনে নিয়েছে।

পরিশেষে বলা যায় যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ভারতের ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল।

5. ভারত রাশিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চারটি বিষয় উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভাপত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব মূলক সম্পর্কের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল

অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক: ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ভারত একটি তেল আমদানিকারক দেশ হওয়ার ভারতের কাছে রাশিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তেল সংকটের সময়ে রাশিয়া বহুবার ভারতের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে।

সামরিক সম্পর্ক: ইন্দো- রাশিয়া কৌশলগত চুক্তি ২০০১-এর অংশ হিসেবে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এ পর্যন্ত ৮০টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত হল রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র বাজার। ভারতের সেনাবাহিনী বেশির ভাগ সামরিক যন্ত্রপাতি রাশিয়া থেকে ক্রয় করে।

সাংস্কৃতিক সম্পর্ক: ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও খুব ঘনিষ্ঠ। ভারতীয় সংস্কৃতি, হিন্দি চলচ্চিত্র সেখানে ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। রাশিয়া থেকে প্রতিবছর ভারতে বৃহ পর্যটক ভ্রমণ করতে আসেন।

পরমাণু শক্তি পরিকল্পনা: ভারতের পরমাণু শক্তি পরিকল্পনা ও মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে রাশিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যখন প্রয়োজন পড়েছে তখনি রাশিয়া ভারতকে কয়োজনিক রকেট (Cryogenic rocket) দিয়ে সাহায্য করেছে। তা ছাড়া ভারত ও রাশিয়া বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের ক্ষেত্রেও পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার হাত  বাড়িয়ে দিয়েছে।

12

পরিশেষে বলা যায় যে, অভিঘাত থেরাপির ফলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে যেমন সংকটময় করে তেমনি সমগ্র জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে।

রাশিয়ার অর্থনীতির অভিঘাত থেরাপি ফলাফল লেখো।( 2023 TBSE Final)

উত্তরঃ রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর ‘ ওপর ‘অভিঘাত থেরাপি’র ফলাফল হল—

(i) ইতিহাসের বৃহৎ গ্যারেজ বিক্রি: অভিঘাত থেরাপির ফলে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থব্যবস্থা প্রায় অদৃশ্য বা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এর ফলে রাশিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ শিল্প কারখানা বেসরকারি ব্যক্তি বা কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে হয়। একে ‘ইতিহাসের বৃহৎ গ্যারেজ বিক্রি’ বলা হয়।

(ii)মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা: রাশিয়ান মুদ্রা রুবল-এর মূল্য সাংঘাতিক ভাবে হ্রাস পায়। মুদ্রাস্ফীতির গতি এতটাই ক্রমবর্ধমান ছিল যে, জনগণ তাদের সমস্ত সঞ্চয় হারিয়ে ফেলে।

(iii)সামাজিক উন্নয়ন বিপর্যস্ত: অভিঘাত থেরাপির ফলে সামাজিক উন্নয়ন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়। সমাজ মাফিয়া শ্রেণির লোকদের আবির্ভাব ঘটে এবং তারাই অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। সোভিয়েত পরবর্তী রাষ্ট্রগুলি বিশেষ করে রাশিয়া ধনী ও দরিদ্র দুটি অঞ্চলে বিভক্ত হয়; সরকারিভাবে ভরতুকি ব্যবস্থা তুলে দেওয়ায় বেশিরভাগ জনগণ গরিব হয়ে পড়ে।

(iv) সমষ্টিগত কৃষি ব্যবস্থার অবলুপ্তি: অভিঘাত থেরাপির ফলে সমষ্টিগত বা যৌথ কৃষি ব্যবস্থায় অবলুপ্তি ঘটে। জাতীয় উৎপাদন হ্রাস পায়। এই অবস্থায় জনগণের খাদ্য-নিরাপত্তা ব্যাহত হয় এবং রাশিয়া খাদ্য আমদানিতে বাধ্য হয়।

04.ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্রবিন্দু

সঠিক উত্তরটি বাছাই করুন 1×1=1                                                                               13

1.ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল বা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা হল- (i) ১২টি (ii) ১৪টি (iii) ১২০টি (iv) ১২৭টি উত্তর:(i) ১২টি।

2নীচের কোন্‌টি আসিয়ানের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র (i) চিন(ii) কানাডা(ii) পাপুয়া নিউগিনি (iv) এগুলির সবক-টি উত্তর: (iii) পাপুয়া নিউগিনি।

3ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে সদস্য রাষ্ট্র সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য, তা হল- (i) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ii) ফ্রান্স(ii) চিন(iv) ভারত  উত্তর:(ii) ফ্রান্স।

4ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা লাভ করে (i) লিবসন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে(ii) সাঙ্গেন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে(iii) মাস্ট্রিক্ট চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে(iv) জেনেভা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে উত্তর:(iii) মাস্ট্রিক্ট চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে।

52002 খ্রিস্টাব্দে ইউরোনামে একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু হয়  ইউরোপীয় ইউনিয়ভুক্ত –(i) 11 টি দেশে(ii) 10 টি দেশে(iii) 15 টি দেশে(iv) 12 টি দেশে   উত্তর:(iv) 12 টি দেশে।

6বান্দুং কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়-(i) 1955 খ্রিস্টাব্দের 18-24 এপ্রিল(ii) 1955 খ্রিস্টাব্দের 18-24 মে(iii) 1955 খ্রিস্টাব্দের 18-20 জুন(iv) 1955 খ্রিস্টাব্দের 18-23 জুলাই উত্তর: (i) 1955 খ্রিস্টাব্দের 18-24 এপ্রিল।

7ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রার নাম-(i)রুবল(ii)ইউরো (iii) ফ্রা (iv) ডলার উত্তর: (ii) ইউরো।

8মাস্ট্রিক্ট (Maastricht) চুক্তি কার্যকর হয় (i) 1993 খ্রিস্টাব্দে 1 নভেম্বর(ii) 1992 খ্রিস্টাব্দে 12 মার্চ(iii) 1994 খ্রিস্টাব্দে 12 ডিসেম্বর(iv) কোনোটিই নয় উত্তর: (i) 1993 খ্রিস্টাব্দে 1 নভেম্বর।

9ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর কার্যালয় অবস্থিত (i) নিউইয়র্কে(ii) লন্ডনে(iii) ব্রাসেলসে(iv) টোকিওতে উত্তর: (iii) ব্রাসেলসে।

10ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগ করে(i) 2020 খ্রিস্টাব্দের 22 জানুয়ারি(ii) 2020 খ্রিস্টাব্দের 31 জানুয়ারি(iii) 2019 খ্রিস্টাব্দের 31 মার্চ (iv) কোনোটিই নয়  উত্তর:(ii) 2020 খ্রিস্টাব্দের 31 জানুয়ারি।

11ইউরোপীয় ইউনিয়নের জাতীয় পতাকায় তারকা রয়েছে (i) 12 টি (ii) 18 টি (iii) 22 টি (iv) 42 টি উত্তর:(i) 12 টি।

12আসিয়ানের পতাকায় রয়েছে (i) বেলগাছের পাতা (ii) ধান গাছের বৃত্ত(iii) আম গাছের বৃত্ত (iv)গোলাপ গাছের বৃত্ত  উত্তর:(ii) ধান গাছের বৃন্ত।

13অ্যাসিয়ান (ASEAN) প্রতিষ্ঠিত হয়(i) 1966 খ্রিস্টাব্দে (ii) 1967 খ্রিস্টাব্দে (iii) 1968 খ্রিস্টাব্দে (iv) 1969 খ্রিস্টাব্দে উত্তর:(ii) 1967 খ্রিস্টাব্দে।

14বর্তমানের অ্যাসিয়ানের সদস্য সংখ্যা হল (i) 10(ii)11(iii) 12(iv)13 উত্তর:(i) 10

15অ্যাসিয়ান প্রতীক চিহ্নে অঙ্কিত ধান গাছে রয়েছে(i) নয়টি বৃত্ত(ii) আটটি বৃত্ত(iii) দশটি বৃত্ত(iv) সাতটি বৃত্ত উত্তর:(iii) দশটি বৃত্ত

নীচের প্রশ্নগুলি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও:1×2=2

1. ইউরোপীয় আদালত কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: ইউরোপীয় আদালত নিউইয়র্কে অবস্থিত।

2. G-7 গোষ্ঠীতে এশিয়ার কোন দেশ এর সদস্য?                                                               14

উত্তর: G-7 গোষ্ঠীতে এশিয়ার জাপান এর সদস্য।

3. ASEAN-এর সদর দফতর কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: ASEAN-এর সদর দফতর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত।

4. ইউরোপীয় মুদ্রার নাম কী?                                                                                       

উত্তর: ইউরোপীয় মুদ্রার নাম ইউরো।

5. Look East Policy-রূপকার কে?

উত্তর: Look East Policy-রূপকার পিভি নরসীমা রাও।

6. ভারতে উদারনীতিবাদের প্রবক্তা কে?

উত্তর: ভারতে উদারনীতিবাদের প্রবক্তা হলেন পি ভি নরসীমা রাও।

7. কোন্ দুই দেশের মধ্যে ‘সিভিল নিউক্লিয়ার এগ্রিমেন্ট’ হয়?

উত্তর: ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘সিভিল নিউক্লিয়ার এগ্রিমেন্ট’ হয়।

8. কে চিন-এ Open Door বা মুক্তদার  নীতি ঘোষণা করে?

উত্তর: দেং জিয়াও পিং চিন-এ Open Door নীতি ঘোষণা করে।

9. বর্তমানে ইউরোপীয় উইনিয়নের সদস্য সংখ্যা কত?

উত্তর: বর্তমানে ইউরোপীয় উইনিয়নের সদস্য সংখ্যা ২৭।

10. কোন্ রাষ্ট্র ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগ করে?

উত্তর: ব্রিটেন ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগ করে।

 11. ASEAN-এর পুরো নাম কী ?

উত্তরঃ ASEAN-এর পুরো নাম হল Association of South East Asian Nations.            15

12. কবে ‘NATO’ গঠিত হয় ?

উত্তর: ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ এপ্রিল NATO গঠিত হয়।

13. WTO(world trade organisation) কবে গঠিত হয়?

উত্তর: WTO গঠিত হয় ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি।

14. WTO-এর সদর দফতর কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: WTO-এর সদর দফতর জেনেভায় অবস্থিত।

15. ECSC-এর পুরো নাম কী?

উত্তর: ECSC-এর পুরো নাম হল European Coal and Steel Community |

16. ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকায় অবস্থিত বারোটি তারকা চিহ্ন কীসের প্রতীক?

উত্তর: ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকায় অবস্থিত বারোটি তারকা চিহ্ন ঐতিহ্যগতভাবে পরিপূর্ণতা, সম্পূর্ণতা ও একতার প্রতীক।

17. কবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়।

18. WTO এর সঙ্গে চীন কবে যোগদান করে?

উত্তর: ২০০১ খ্রিস্টাব্দ

19. বর্তমানে আসিয়ানের সদস্য সংখ্যা কত?

উত্তর: বর্তমানে আসিয়ানের সদস্য সংখ্যা 10।

*পাঁচটি দেশ নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল

20. WTO-এর সম্পূর্ণ নাম কী?

উত্তর: WTO-এর সম্পূর্ণ নাম হল World Trade Organisation.                         16

21. কবে গণপ্রজাতন্ত্রী চিন প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে গণ প্রজাতন্ত্রী চিন প্রতিষ্ঠিত হয়

*২০৪০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চিনের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত আমেরিকার অর্থনীতিকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হয়।

22. লিবসন চুক্তি কবে কার্যকর হয় ?

উত্তর: ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে লিবসন চুক্তি কার্যকর হয়।

23. কবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়

উত্তর: ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়।

24. চিন কবে শিল্পে বেসরকারি নীতি অনুসরণ করে?

উত্তর: ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে চিন শিল্পে বেসরকারি নীতি অনুসরণ করে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর প্রতিটি প্রশ্নের মান:3

1.দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ASEAN-এর প্রভাব সম্পর্কে লেখো।

উত্তর: দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ASEAN-এর তিনটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব হল।

(i) শান্তি, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার অঞ্চল: ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে আসিয়ানের বিদেশমন্ত্রীগণ একত্রিত হয়ে শান্তি, স্বাধীনতা  ও নিরপেক্ষতার অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে থাকার নিশ্চয়তা পায়।

(ii) পরমাণু মুক্ত অটল চুক্তি: ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে আসিয়ানের ব্যাংকক সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলি ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পরমাণু মুক্ত অঞ্চল চুক্তি’-তে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির মধ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরপত্তার প্রতি সদস্য রাষ্ট্রগুলির দায়বদ্ধতার কথা বলা হয়েছে।

(iii) নিরাপত্তা জনিত সহযোগিতা: আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে নিরাপতা জনিত সহযোগিতা বজায় করার উদ্দেশ্যে ASEAN Security Council গঠন করে। এই পরিষদ গঠনের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অন্যান্য আঞ্চলিক জোটের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর ফলে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা সুরক্ষিত হয়।

2. ভারতের Look East Policy-র (পূর্বে তাকাও নীতির) যে-কোনো তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর: ভারতের Look East Policy-র (পূর্ব তাকাও নীতির) উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল—      17

(i) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন: ভারতের পূর্ব তাকাও নাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়ন। কারণ ওই রাজ্যগুলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার। তাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলির সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির টেলি কমিউনিকেশন, সড়ক পরিবহণতা বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছে।

(ii) আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন: ভারতের পূর্বে তাকাও নীতির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল আসিয়ানের অন্তর্ভূক্ত ১০টি রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। এই লক্ষ্যে ভারত ও আসিয়ানের মধ্যে ‘Agreement on Trade in Service and Investment’ স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ১ জুলাই কার্যকরী হয়।

(iii) অভ্যন্তরীন ব্যবস্থার উন্নয়ন: ভারতের পূর্বে তাকাও নীতির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো ব্যবস্থার উন্নতি সাধন। যেমন— মেক ইন ইন্ডিয়া তা স্মাট শহর তৈরি, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নয়ন ইত্যাদি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

3. আসিয়ান লক্ষ্য ২০২০-এর উপাদানগুলি কী কী ?

উত্তর: ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে ব্যাংকক ঘোষণা চুক্তি স্বাক্ষর করার মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্‌স, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যত্রান্ড মিলিতভাবে আসিয়ান (ASEAN) প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তী সময়ে আরও পাঁচটি রাষ্ট্র এর অন্তর্ভুক্ত হলে বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় দশ। মাধ্যমে

আসিয়ান লক্ষ্য ২০২০ -এর উপাদানগুলি হল – সামাজিক প্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি দ্রুততর করা এবং এর –

(ii) ২০২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ আসিয়ান-এর অন্যতম লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। এই সংগঠন মনে করে যে, ২০২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষমতাশালী হবে। এবং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।

(iii) আসিয়ান আঞ্চলিক সংঘর্ষ নিরসনে বার্তালাপের নীতিতে বিশ্বাসী। এভাবেই কম্বোডিয়ার সংঘর্ষ সমাধানে এবং পূর্ব তিমুরের সংকট অবসানে আসিয়ান মীমাংসাকারীর ভূমিকা গ্রহণ করে।

(iv) আসিয়ান নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং পারস্পরিক সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নে গুরুত্ব আরোপ করে।

4. চিনের অর্থনৈতিক উত্থানের পশ্চাতে যে-কোনো চারটি দিক সম্পর্কে লেখো।

উত্তর: চিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পশ্চাতে তিনটি উল্লেখযোগ্য দিক হল –

(i) চিন-মার্কিন সুসম্পর্কঃ ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক চিনের অর্থনৈতিক উত্থানে সহায়ক হয়ে ওঠে। যেমন ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিকসন চিন সফরে আসলে প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই-এর সঙ্গে ‘সাংহাই কমিউনিটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

(ii) আধুনিকীকরণ: ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে চিনের প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই চারটি ক্ষেত্রে অধুনিকীকরণের প্রস্তাব দেন। এই চারটি ক্ষেত্র হল কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সেনাবাহিনী।

(iii) মুক্ত দ্বার নীতি: ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে চিনের তৎকালীন প্রধান নেতা দেং জিয়াও পিং ‘মুক্ত দ্বার নীতি’-র মাধ্যমে চিনে অর্থনৈতিক সংস্কারে ঘোষণা দেন। এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল বৈদেশিক প্রযুক্তি ও পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে সর্বোচ্চ হারে উৎপাদন নিশ্চিত করা।

5. আঞ্চলিক সংগঠন তৈরির পেছনে যে-কোনো চারটি উদ্দেশ্য লেখো।                                     18

উত্তর: আঞ্চলিক সংগঠন তৈরির পেছনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল –

(i) আঞ্চলিক সহযোগিতার উন্নয়ন : আঞ্চলিক সংগঠন তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হল কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে অবস্থিত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গঠন করা।

(ii) ভ্রাতৃত্বমূলক মনোভাব : একই অঞ্চলে অবস্থিত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা ও আঞ্চলিক সংগঠন তৈরি করার আরএকটি উদ্দেশ্য।

(iii) অর্থনৈতিক উন্নতি : আঞ্চলিক সংগঠন সদস্য রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করে। এরফলে সদস্য রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক উন্নতি ও ক্ষমতা জোরদার হয়।

আসিয়ান সম্প্রদায়ের যে-কোনো তিনটি উদ্দেশ্য লেখো।(TBSE Final 2023)

উত্তর: আসিয়ান সম্প্রদায়ের তিনটি উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য হল—

(i) একটি সর্বজনীন উৎপাদন শিল্প ও বাজার তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলির আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করা।

(ii) সদস্য দেশগুলির মধ্যে চলমান সমস্যাগুলির সমাধানে সংঘর্ষ নিরসন ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করা।

(iii)পুঁজি বিনিয়োগ, শ্রম এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে একটি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা নির্মাণে উদ্যোগী হওয়া। এই উদ্যোগের ফলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন মুক্ত বাণিজ্য এলাকা সৃষ্টির বিষয়ে আসিয়ানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করেছে।

05.সমকালীন দক্ষিণ এশিয়া

MCQ=1×1=1

1. SAARC এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা- (i) ৬(ii) 9(iii) ৮(iv) ৯ উত্তর: (iii) ৮।

*১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়েছিল *সার্কের সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্রের নাম হচ্ছে আফগানিস্তান *সার্কের সর্বাধিক জন্মহার পাকিস্তান এবং সর্বনিম্ন জন্মহার মালদ্বীপে

2. ২০০৭ সালে SAARC-এ যোগ দেন— (i)চিন(ii)আফগানিস্তান (iii)সিঙ্গাপুর (iv)কাজাকিস্তান উত্তর: (ii) আফগানিস্তান।

3. সার্ক-এর পর্যবেক্ষক দেশ হল— (i)কোরিয়া এবং চিন (iii)জাপান এবং চিন (iv)থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াৎ উত্তর: (iii) জাপান এবং চিন।

4. নেপালে রাজতন্ত্রের অবসান হয় (i) ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে (ii) ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে (iii) ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে(iv) ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে  উত্তর: (iii) ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে।

5. ভারত শ্রীলঙ্কায় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করে (i) ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে(ii) ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে(iii) ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে(iv) ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে উত্তর: (iii) ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে।

 6. ভারত-পাকিস্তান ‘তাসখন্ড চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয় – (i)১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে (ii) ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে(iii) ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে(iv) ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে  উত্তর: (iii) ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে।

7. ভারত কর্তৃক প্রথম পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা হয় (i) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে (ii) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে (iii) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে (iv) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে উত্তর:(i) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে।

8. ভারত দ্বিতীয়বার পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায় (i)১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে(ii)১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে(iii) ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে(iv) ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে উত্তর: (ii) ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে।

9.স্থল বেষ্টিত একটি রাষ্ট্র হল (i)ভারত(ii)নেপাল(iii)বাংলাদেশ(iv)শ্রীলঙ্কা উত্তর: (ii) নেপাল।

10. সার্ক-এর প্রথম সভাপতি(i)রাজীব গান্ধি ছিলেন(ii) হোসেন মহম্মদ এরশাদ(iii) জিয়াউর রহমান (iv) শেখ হাসিনা  উত্তর: (ii) হোসেন মহম্মদ এরশাদ।

11. মালদ্বীপে বহুদলীয় ব্যবস্থা শুরু হয় (i)২০০৫ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে (ii)২০০৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে (iii)২০০৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে (iv) ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে  উত্তর: (ii) ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে।

12. সাফটা (SAFTA) কার্যকর হয়, ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের – (i)১জানুয়ারি থেকে (ii) ২ জানুয়ারি থেকে(iii) ৩ জানুয়ারি থেকে  (iv) ৪ জানুয়ারি থেকে উত্তর: (i) ১ জানুয়ারি থেকে।

***সাফটা(SAFTA) স্বাক্ষরিত হয় ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে।

13. ১৯৮৫ সালে সার্ক (SAARC) এর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়-(i)দিল্লিতে(ii)ঢাকায়(iii)করাচিতে (iv)লাহোরে উত্তর: (ii) ঢাকায়।

14. শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতা অর্জন করে-(i)১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে(ii) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে(iii) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে (iv) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে  উত্তর: (i) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে।

15.  ‘SPA’-এর সম্পূর্ণ নাম হল- (i)Seven Police Act(ii) Seven Party Alliance(iii) Srilanka Police Act (iv) কোনোটিই নয় উত্তর: (ii) Seven Party Alliance

16.  ভারত ও পাকিস্তান সিন্ধু নদীর জল বন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে – (i)১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে(ii)১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে(iii)১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে(iv)১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে উত্তর: (ii) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।

17. সার্কের সচিবালয় অবস্থিত –(i)নেপালের কাঠমাণ্ডুতে(ii) ভারতের কলকাতায়(iii) শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে(iv) পাকিস্তানের লাহোরে  উত্তর: (i) নেপালের কাঠমাণ্ডুতে।

18. সার্ক সংগঠনের সচিবালয়ের প্রথম সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন-(i)আবুল আহসান(ii)জিয়াউর রহমান(iii)হূসেন মহম্মদ এরশাদ(iv)জয় বর্ধনে উত্তর: (i) আবুল আহসান।

19. ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ‘কার্গিল যুদ্ধ’ ভারতের পক্ষ থেকে অন্য যে নামে পরিচিত, তা হল—  (i) অপারেশন রেড স্টার(ii) অপারেশন ব্লু স্টার (iii) অপারেশন বিজয় (iv) কোনোটিই নয়  উত্তর: (iii) অপারেশন বিজয়।

20.  ভুটান সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্যপদ লাভ করেছিল –(i)১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ২১ জানুয়ারি(ii) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ১২ মে(iii) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ২১ সেপ্টেম্বর(iv) কোনোটিই নয় উত্তর: (iii) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ২১ সেপ্টেম্বর।

নীচের প্রশ্নগুলি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও:1×2=2

1. সার্ক-এর প্রধান রূপকার কে?

উত্তর: সার্ক-এর প্রধান রূপকার হলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

2.ভুটানে প্রথম কবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে ভুটানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

3. কখন নেপালে নতুন সংবিধান গৃহীত হয়?

উত্তর: ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে নেপালে নতুন সংবিধান গৃহীত হয়।

4.’এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—কে বলেছেন?

উত্তর: ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—এ কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

5. ISI কী?

উত্তর: ISI হল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা।

6. SAARC-এর পুরো নাম কী ?

উত্তর: সার্ক এর পুরো নাম – South Asian Association for Regional Co-operation |

7. সার্ক-এর সদর দপ্তর কোথায়?

উত্তর: সার্ক-এর সদর দপ্তর কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।

8. কবে, কাদের মধ্যে মহাকালী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?

উত্তর: ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জানুয়ারি ভারত ও নেপালের মধ্যে মহাকালী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

9. ১৯৭১ খ্রিঃ বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: ১৯৭১ খ্রিঃ বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী।

10. LTTE-এর পুরো নাম কী?

উত্তর: LTTE-এর পুরো নাম হল Liberation Tigers of Tami Eelam |

11. কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অইল বিহারী বাজপেয়ী।

12. ভারত কবে ‘লুক ইষ্ট’ (Look East) নীতি গ্রহণ করে?

উত্তর: ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে ভারত ‘লুক ইষ্ট’ (Look East) নীতি গ্রহণ করে।

13. কবে ভারত ও বাংলাদেশ কিছু ছিটমহল বিনিময় করেছে?

উত্তর: ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও বাংলাদেশ কিছু ছিটমহল বিনিময় করেছে।

14. সার্ক-এর প্রথম সেক্রেটারি জেনারেল কে?

উত্তর: সার্ক -এর প্রথম সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন বাংলাদেশের আবুল আহসান।

15. কবে কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সঙ্গে যোগদান করেন?

উত্তর: ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ২৬ অক্টোবর কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সঙ্গে যোগদান করেন।

16. বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা কবে নোবেল পুরস্কার পান?

উত্তর: বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ ইউনুস ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার পান।

Watch Video and Visit my Website StudyTripura.Com

নীচের প্রশ্নগুলি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও:(Word Limit 20 -30) 2×1=2

01.কু-দে-তা কী ?

উত্তর:ফরাসি শব্দ কু-দে-তা-এর অর্থ হল ‘a stroke of state’। কু-দে-তা বলতে বেআইনি এবংঅসাংবিধানিকভাবে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সরকারি ক্ষমতা দখল করাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে উদাহরণ

হিসেবে পাকিস্তানে পারভেজ মোশারফ সামরিক অভুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যে দখল করেছিল তার কথা বলা যেতে পারে।

02.দক্ষিণ এশিয়া কী ?

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়া বলতে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে বোঝায়। এই অঞ্চলের উত্তরে রয়েছে হিমালয় পর্বতমালা। দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পূর্বে যথাক্রমে রয়েছে ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর।

03.কত সালে এবং কোন্ কোন্ দেশ নিয়ে সার্ক গঠিত হয়েছিল?

উত্তর: 1985 খ্রিস্টাব্দের 9 ডিসেম্বর সার্ক গঠিত হয়েছিল। সার্ক গঠিত হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ নিয়ে।এই দেশগুলি হল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান,নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপ।2007 সালে আফগানিস্তান এর অন্তর্ভুক্ত হয়।

04.সার্কের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।

উত্তর:সার্কের 1 নং সনদে যে সব উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে,তার মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য হল

(ক)দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মধ্যে যৌথ আত্মনির্ভরশীলতার মনোভাবকে প্রসারণ ও সুদৃঢ় করা।

(খ) দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জনগণের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণসাধন ও তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে চেষ্টা করা।

05.সার্কের দুটি নীতি লেখো।

উত্তর:সার্কের দুটি নীতি হল –

(ক) প্রত্যেক রাষ্ট্রের সম-সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখন্ডতা রক্ষা ও অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক সুবিধার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলি পারস্পরিক সহযোগিতার নীতি কার্যকর করবে।

(খ)সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ঐ পারস্পরিক সহযোগিতার নীতি দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে বিবেচিত না হলেও পরিপূরক হিসেবে গণ্য হবে।

06.সার্কের দুটি কাজ লেখো।

উত্তর: 1985 খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সার্ক(SAARC) গঠিত হয়। সার্ক যেসব কাজ করেছে, তার মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য হল—(ক) সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক আস্থা এবং একে অপরের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া।

(খ)দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতা,বৈদেশিক বাণিজ্যের বাধাগুলি দূরীকরণ এবং মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তুলতে সার্ক উদ্যোগ গ্রহণ করে।

07.SAFTA (সাফটা) কী ?

উত্তর: SAFTA – এর সম্পূর্ণ নাম হল South Asian Free Trade Agreement। 2004 খ্রিস্টাব্দে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সার্কের শীর্ষ সম্মেলনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।2006 খ্রিস্টাব্দের 1 জানুয়ারি এই চুক্তি কার্যকরী হয়।এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য হল 2015 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে একটি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তুলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানো

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর প্রতিটি প্রশ্নের মান:4×1=4

(1) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের কারণগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের কারণগুলি হল –

(i) দেশ বিভাগের কিছুদিন পরেই এই দুটি দেশ কাশ্মীর নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। পাকিস্তান মনে করে কাশ্মীর তাদের।ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৭-৪৮ খ্রিস্টাব্দের যুদ্ধের পরিণতিতে প্রদেশটি নিয়ন্ত্রণ রেখা দ্বারা বিভাজিত হয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং জম্মু কাশ্মীর নামে ভারতের রাজ্যে পরিণত হয়েছিল।এই সমস্যার এখনও সমাধান হয়নি।

(ii)সিয়াচেন গেলসিয়ারের নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র সংগ্রহ ইত্যাদি কৌশলগত বিষয়গুলির ক্ষেত্রেও ভারত ও পাকিস্তান পরস্পর বিরোধী।

(iii) নদীর জল বণ্টন বিষয়ে ও উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় উভয় রাষ্ট্রের সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষর করলেও মতপার্থক্য রয়ে গেছে।

(iv)কচ্ছের রান অঞ্চলে স্যারক্রিক-এর সীমারেখা নিয়েও দুটি দেশের মধ্যে সহমত হয়নি।

(2)সার্কের সাফল্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে সমগ্র পৃথিবীতে যে সব আঞ্চলিক সংস্থা গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে একটি অন্যতম হল সার্ক (SAARC)। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

সার্কের সাফল্য: সার্কের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলি হল-

(i) সহযোগিতার মঞ্জু: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ অঞ্চলের অন্যতম সমস্যা হল সামরিক উত্তেজনা। যেমন –ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র। দুটি দেশের মধ্যে চারবার যুদ্ধ হয়েছে। মাঝে মাঝে সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। ভারতের বিরুদ্ধে নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা মাঝে মাঝেই বিষোদ্গার করছে। এসবের মধ্যেও সার্ক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতার মঞ্চ হিসেবে কাজ করে চলেছে।

(ii) যৌথ কার্যক্রম: সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে উপগ্রহ ভিত্তিক আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন মারণ ব্যাধির সংক্রমণ রোধ, তথ্য প্রযুক্তির বিনিময় প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম গৃহীত হচ্ছে।

(iii) অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা : অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সার্কভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলি নিজেদের মধ্যে ব্যাবসা-বাণিজ্যের বিস্তার ঘটেছে।

(3)সার্কের ব্যর্থতা সম্পর্কে আলোচনা করো।

সার্কের ব্যর্থতা: সার্কের উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতাগুলি হল—

(i)পারস্পরিক অবিশ্বাস: সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস সার্কের ব্যর্থতার একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়।

(ii) কাশ্মীর সমস্যা: কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে বিরোধ চলছে, তা খুব তাড়াতাড়ি মিটবে বলে আশা করা যায় না। এই কাশ্মীর সমস্যাও সার্কের সাফল্যের পথে একটি বিরাট বাধা।

(iii) আন্তঃ রাষ্ট্রীয় ব্যাবসা-বাণিজ্য: সার্কভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ব্যাবসা-বাণিজ্যের প্রসার কম। দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলি ব্যাবসা বাণিজ্যর সম্প্রসারণের উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (SAFTA – South Asian Free Treaty Agreement)-এ স্বাক্ষর করলেও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।

 (4)শ্রীলঙ্কার জাতিগত সমস্যা সম্পর্কে লেখো।(TBSE Final 2023) m=5

উত্তর: শ্রীলঙ্কার জাতিগত সমস্যায় জড়িত তিনটি প্রধান গোষ্ঠী হল সিংহলি, শ্রীলঙ্কার তামিল এবং ভারতীয় তামিল। তবে মূল জাতিগত সমস্যায় জড়িত রয়েছে সিংহলি এবং তামিল জনগোষ্ঠী। স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি জাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী শক্তিই ছিল সবচেয়ে প্রভাবশালী। সিংহলিরা ভারত থেকে আসা শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিল জনগোষ্ঠীর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন ছিল। সিংহলি জাতীয়তাবাদীরা মনে করত শ্রীলঙ্কা শুধু সিংহলিদের জন্য। সিংহলিদের এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি তামিলদেরকে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও তামিল জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের দিকে ধাবিত করে। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে দি লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE) নামক একটি জঙ্গী সংগঠন শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের জন্য ‘তামিল ইলম’ বা স্বতন্ত্র তামিল রাজ্যের দাবিতে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত হয়।

শ্রীলঙ্কার মৌলিক সমস্যা হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত তামিল জনগোষ্ঠী। অন্যদিকে ভারতের তামিল জনগোষ্ঠীরাও শ্রীলঙ্কার তামিলদের স্বার্থরক্ষায় ভারত সরকারের ওপর চাপসৃষ্টি করতে থাকে। তামিল প্রসঙ্গে ভারত সরকার শ্রীলঙ্কার সরকারের সঙ্গে নানা সময়ে আলোচনা করলেও ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে শ্রীলঙ্কার তামিলদের ইস্যুতে ভারত সরকার সরাসরি যুক্ত হয়। শ্রীলঙ্কার সাথে একটি চুক্তি অনুসারে ভারত সেখানকার সরকার ও তামিলদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে সেনাবাহিনী প্রেরণ করে। এতে বেশিরভাগ শ্রীলঙ্কানরা মনে করে যে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ। এর ফলে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় শান্তিরক্ষা বাহিনীকে কোনো উদ্দেশ্যসাধন ছাড়াই শ্রীলঙ্কা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।শ্রীলঙ্কাও সংকট গভীরতর হতে থাকলে নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডের মতো স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলি শ্রীলঙ্কায় যুদ্ধরত গোষ্ঠীসমূহকে আলোচনায় বসাতে উদ্যোগী হয়। পরিশেষে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে এল টি টি ই-এর শোচনীয় পরাজয়ে শ্রীলঙ্কায় সশস্ত্র সংঘাতের পরিসমাপ্তি ঘটে।

06.আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ

MCQ 1×1=1

1.সাধারণ সভায় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের পাঁচজন সাধারণ সভায় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের পাঁচজন প্রতিনিধির ভোট রয়েছে মাত্র-(i) একটি(ii) দুইটি(iii) তিনটি(iv) চারটি উত্তর:(i) একটি।

2.মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রটি সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভায় গৃহীত হয়েছিল—(i)1945 সালে 24 অক্টোবর(ii)1948 সালে 10 ডিসেম্বর(iii)1950 সালে 20 জুন(iv)1952 সালে 14 জুন উত্তর:(ii)1948 সালে 10 ডিসেম্বর।

3.বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়-(i)10ডিসেম্বর(ii)5ডিসেম্বর(iii)10নভেম্বর(iv)18নভেম্বর উত্তর:(i)10 ডিসেম্বর।

4.1950 খ্রিস্টাব্দে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাবটি গৃহীত হয়— (i) সাধারণ সভায়(ii)নিরাপত্তা পরিষদ(iii)আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে(iv)অর্থনৈতিক সামাজিক পরিষদে উত্তর:(i)সাধারণ সভায়।

5.শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে (Unity for peace) প্রস্তাব যে সংস্থা গ্রহণ করে,তা হল—(i)নিরাপত্তা পরিষদ(ii)সাধারণ সভা(iii)অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ(iv)অছি পরিষদ  উত্তর:(ii)সাধারণ সভা।

6.সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটির নাম হল- (i) নিরাপত্তা পরিষদ(ii) অছি পরিষদ(iii) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ(iv) সাধারণ সভা উত্তর: (i) নিরাপত্তা পরিষদ।

7.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল— (i) 1939 খ্রিস্টাব্দের 1 সেপ্টেম্বর(ii) 1920 খ্রিস্টাব্দের 10 জানুয়ারি(iii) 1940 খ্রিস্টাব্দের 21 আগস্ট(iv) 1943 খ্রিস্টাব্দের 10 ডিসেম্বর উত্তর:(i)1939 খ্রিস্টাব্দের 1 সেপ্টেম্বর।

8.সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের পূর্বসূরি প্রতিষ্ঠানটির নাম হল- (i) IMF(ii) SAARC(iii) জাতিসংঘ(iv) WTO উত্তর:(iii)জাতিসংঘ।

9.সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল-(i) 24 অক্টোবর 1945 খ্রিস্টাব্দে(ii) 26 জুন 1945 খ্রিস্টাব্দে(iii) 25 আগস্ট 1947 খ্রিস্টাব্দে(iv) 26 জুন 1947 খ্রিস্টাব্দে উত্তর: (ii) 26 জুন 1945 খ্রিস্টাব্দে।

10.সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর হল (i)মস্কোয়(ii)লন্ডনে(iii)টারটেল বে (নিউইয়র্ক)(iv) ওয়াশিংটনে উত্তর:(iii)টারটেল বে (নিউইয়র্ক)।

11.সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠার সময় এর সদস্য সংখ্যা ছিল— (i) 41 (ii) 51 (iii) 52(iv) 65 উত্তর:(ii) 51

12.বর্তমানে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা – (i) 190 (ii) 191 (iii) 192 (iv) 193 উত্তর:(iv)193

13.সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বৃহত্তম অঙ্গ বা বিভাগ হল (i) নিরাপত্তা পরিষদ(ii) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ(iii) অছি পরিষদ (iv) সাধারণ সভাউত্তর: (iv) সাধারণ সভা।

14.জাতিপুঞ্জের সংবিধানকে বলে—(i) প্রস্তাবনা(ii) সনদ(iii)জেনারেল অ্যাসেম্বলি (iv) নিরাপত্তা পরিষদ

উত্তর: (ii) সনদ।

15.বিশ্বের বিরাট নাগরিক সভা নামে পরিচিত— (i) সাধারণ সভা (ii) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (iii) অছি পরিষদ (iv) নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর:(i) সাধারণ সভা

নীচের প্রশ্নগুলি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও:1×2=2

1.আন্তর্জাতিক বিচারালয় কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: আন্তর্জাতিক বিচারালয় নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত।

2. সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশন কখন বসে?

উত্তর: সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশন প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বসে।

3. হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা মানবাধিকার প্রহরী কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা মানবাধিকার প্রহরী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে।

4. বিশ্ব ব্যাংক এর সদর দফতর কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: বিশ্ব ব্যাংকের সদর দফতর ওয়াশিংটনে অবস্থিত।

5. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান উদ্দেশ্য হল আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।

6. UNICEF কবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়?

উত্তর: UNICEF ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়

7. জাতিপুঞ্জের সদর দফতর কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: জাতিপুঞ্জের সদর দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত।

8. ‘UNICEF’-এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

উত্তর: ‘UNICEF’- এর সম্পূর্ণ নাম হল United Nations Children’s Fund.

12.  আন্তর্জাতিক নারী-দিবস কবে পালন করা হয়?

উত্তর: আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ পালন করা হয়।

9. আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা কত বছরের জন্য নির্বাচিত হয়?

উত্তর: আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা ৯ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়।

10. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে ভারতের প্রথম প্রতিনিধি কে ছিলেন?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে ভারতের প্রথম প্রতিনিধি ছিলেন গিরিজাশংকর বাজপেয়ী।

11. কবে চিন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে?

উত্তর: ১৯৭১খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাস থেকে চিন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে।

12.সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বর্তমান মহাসচিবের নাম কী?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বর্তমান মহাসচিবের নাম অ্যান্তেনিয়ো গুটেরেস।

13. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রথম অস্থায়ী মহাসচিরে নাম কী ?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রথম অস্থায়ী মহাসচিবের নাম | হল গ্ল্যাডওয়ান জেভ। |

14. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী এবং স্থায়ী সদস্য সংখ্যা কত?

উত্তর: নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী 10 এবং স্থায়ী সদস্য সংখ্যা হল 5

*নিরাপত্তা পরিষদের total সংখ্যা হল 10=5=15

*স্থায়ী সদস্যদের হাতে ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।

15. IMF-এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

উত্তর: IMF-এর সম্পূর্ণ নাম হল Intenational Monetary Fund.

*IMF ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।

16. বর্তমানে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা কত?

উত্তর: বর্তমানে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা ১৯৩।

17. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়-১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ২৪ অক্টোবর।

*১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ অক্টোবর ভারত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে যোগদান করে।

18.‘WHO’- এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

উত্তর: ‘WHO’- এর সম্পূর্ণ নাম হল World Health Organisation.

19. ‘UNESCO’-এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

উত্তর: ‘UNESCO’- এর সম্পূর্ণ নাম হল United Nations Educational, Scientific and Cultural Organisation.

20. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিবের নাম কী ?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিবের নাম ট্রিগভি লাই।

21. আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতির সংখ্যা কত?

উত্তর: ১৫ জন।

22. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৫৪।

23. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কোন্ সংস্থাকে বিশ্ব নাগরিক সভা বলে?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভাকে বিশ্ব নাগরিক সভা বলে।

24. সম্মিলিতজাতিপুঞ্জের মহাসচিবের কার্যকালের মেয়াদ কত বছর?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মহাসচিবের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।

25. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে ক-টি অধ্যায় এবং ধারা রয়েছে?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে ১৯টি অধ্যায় এবং ১১১টি ধারা রয়েছে। |

26. কে সাধারণ সভাকে বিশ্ব নাগরিক সভা বলেছেন?

উত্তর: গেটেল সাধারণ সভাকে বিশ্ব নাগরিক সভা বলেছেন।

27. ‘UNCTAD’-এর সদর দফতর কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: ‘UNCTAD’-এর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।

28. ‘UNCTAD’-এর সম্পূর্ণ নাম লেখো।

উত্তর: ‘UNCTAD’-এর সম্পূর্ণ নাম হল United Nations Conference on Trade and Development.

29. ‘UNEP’- এর পুরো নাম কী?

উত্তর: ‘UNEP’-এর পুরো নাম United Nations Environment Programme.

30. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষীদের কী বলা হয় ?

উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষীদের ‘Blue berets’ বা ‘Blue helmets’ বলা হয় ।

31. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের পতাকা কবে গৃহীত হয় ?

উত্তর: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ অক্টোবর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের পতাকা গৃহীত হয় ।

Watch Video and Visit my Website StudyTripura.Com

1.সাধারণ সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি: ***

(i)  আইন সংক্রান্ত কাজ: সাধারণ সভার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল আইন প্রণয়ন করা। সনদের 13(1) নং ধারানুসারে আন্তর্জাতিক আইন লিপিবদ্ধকরণ ও প্রসারের উদ্দেশ্যে আলোচনা ও সুপারিশের ব্যবস্থা করা হল সাধারণ সভার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

(ii) আলোচনা ও সুপারিশ করার ক্ষমতা: সাধারণ সভা সনদের অন্তর্ভুক্ত যে কোনো বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক, মানবাধিকার ইত্যাদি যে-কোনো বিষয় নিয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলি আলোচনা ও সুপারিশ করতে পারে।

(iii) তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত ক্ষমতা : অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ, কর্মদফতর, নিরাপত্তা পরিষদও তাদের কাজের বিবরণসাধারণ সভার নিকট পেশ করতে হয়।

 (iv) অর্থনৈতিক ক্ষমতা: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের হিসাব নিকাশের যাবতীয় দায়িত্ব রয়েছে সাধারণ সভার নিকট। প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় হিসাব পরীক্ষা এবং ব্যয় অনুমোদন করা সাধারণ সভার কাজ। কোন্ সদস্য রাষ্ট্রের কত চাঁদা দিতে হবে তা নির্ধারণ করে সাধারণ সভা।

(v) সনদ-সংশোধন: সনদ সংশোধনী প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদের সম্মতিক্রমে সাধারণ সভায় উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে কার্যকরী হয়।

Watch Video and Visit my Website StudyTripura.Com

2. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের গঠন ও কার্যাবলি আলোচনা করো।

উত্তর।সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের গঠন ও কার্যাবলি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরিসমাপ্তির পর 1945 খ্রিস্টাব্দের 24 অক্টোবর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ নামক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।প্রথমে এর সদস্যরাষ্ট্র ছিল 51 এবং বর্তমানে তা হল 193। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই আন্তর্জাতিক সংগঠনটির ভূমিকা ও অবদান সর্বজনবিদিত।

পরিষদের কাজকম

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কার্যাবলি:সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ এবং এর প্রধান অঙ্গসমূহের কার্যাবলি হল—

[i] নিরাপত্তা পরিষদের কার্যাবলি: নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কাজ হল বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। জাতিপুঞ্জ শান্তিপূর্ণ উপায় এবং শান্তিমূলক উপায়ে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করে। আর জাতিপুঞ্জের সকল সদস্যরাষ্ট্র বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে পরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

[ii]সাধারণ সভার কার্যাবলি: সাধারণ সভার কার্যাবলির পরিধি অতিমাত্রায় ব্যাপক ও বিস্তৃত। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক, তদারকি ও সুপারিশ করা, নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কিত কার্য সম্পাদন, বিশ্বজনমত গঠন ইত্যাদি ক্ষেত্রে, সাধারণ সভা প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।

[iii] অর্থনৈতিক সামাজিক পরিষদের কার্যাবলি: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সমস্যাসমূহ সম্পর্কে সমীক্ষা ও অনুসন্ধান করে।এছাড়া মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রেও পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

[iv] আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কার্যাবলি: আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের প্রধান কাজ হল সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্যরাষ্ট্রসমূহের বিরোধের বিষয় মীমাংসা করা।জাতিপুঞ্জের সনদের অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট বিষয়, কনভেনশন এবং বলবৎ আছে এমন সন্ধিচুক্তিসমূহ আন্তর্জাতিক আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত করা।

[v] সচিবালয়ের কার্যাবলি:সচিবালয়ের কাজকর্ম বহু ও বিভিন্ন।মহাসচিবের সামগ্রিক নেতৃত্বে সচিবালয়ের কাজকর্ম পরিচালিত হয়। এর প্রধান কাজ হল—আন্তর্জাতিক আইনের বিধিবদ্ধকরণ, আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা, মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, নিরস্ত্রীকরণ,মানবাধিকার রক্ষা, সদস্য দেশের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা ইত্যাদি।

[vi] অছি পরিষদের কার্যাবলি: অছি অঞ্চলের দায়-দায়িত্ব এবং অছি অঞ্চলের প্রশাসনিক কাজকর্ম তত্ত্বাবধান করাই হল অছি পরিষদের প্রধান কাজ। এই পরিষদের অধীনে 11টি অছি অঞ্চল ছিল। সর্বশেষ অছি অঞ্চল 1994 খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা লাভ করে। ফলে বর্তমানে আছি পরিষদের কোনো কাজকর্ম নেই।

3. নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসনলাভের ব্যাপারে ভারতের দাবির প্রতি তোমার সমর্থনে যুক্তি প্রদর্শন করো।

উ: নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতের দাবি আমি সমর্থন করি, কারণ এটি শুধু যুক্তিসংগত নয়, ন্যায়সংগত। জাতিপুঞ্জের পক্ষ থেকে প্রার্থীপদের জন্য কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। ভারত তার সবগুলি সাফল্যের সঙ্গে পূরণ করে। সেইসব শর্তের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পক্ষে যুক্তিগুলি আমি তুলে ধরছি

(I) ভারত প্রথম থেকেই জাতিপুঞ্জের সদস্য এবং প্রথম থেকেই জাতিপুঞ্জের নীতি ও আদর্শ রূপায়ণে সক্রিয়।।

(II) গত সাত দশকের অধিক সময় ভারত তার দায় ও দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে।

(III)ভারত জনসংখ্যায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বর্তমানে এখানে বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ মানুষ বাস করে।

(IV) ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে গণতান্ত্রিক কাঠামো এত মজবুত যে এদেশে কখনোই সামরিক শাসন হয়নি, যা তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে বারবার ঘটেছে এবং ঘটছে।

(V)জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে ভারতের সেনার সংখ্যাই বেশি এবং তাদের দায়িত্বশীল মানবিক আচরণ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

অবশ্য বর্তমানে পাঁচটি সদস্য দেশের মধ্যে চিন ছাড়া সবাই ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভারতের জোরালো সমর্থনের জন্যই চিন জাতিপুঞ্জে সদস্য পদ পেয়েছে।তাই আমি মনে করি নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতের দাবি যুক্তিসংগত এবং ন্যায়সংগত।

8. নিরাপত্তা পরিষদের গঠন ও কার্যাবলি আলোচনা করো।(TBSE Final 2023)

উঃ নিরাপত্তা পরিষদের গঠন : সনদের 23নং ধারা অনুসারে বর্তমানে পাঁচজন স্থায়ী সদস্য এবং দশজন অস্থায়ী সদস্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয়। সনদের 23 এবং 32 নং ধারায় নিরাপত্তা পরিষদের ঘটন ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ হল —মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও গণপ্রজাতন্ত্রী চিন।

নিরাপত্তা পরিষদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি : জাতিপুঞ্জের 24, 25, 26 নং ধারায় এই সংস্থার ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে এগুলি উল্লেখ করা হল

 [1] বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা- সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। এই মুখ্য উদ্দেশ্যকে কার্যকরী করার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের ওপর। সনদের 24নং ধারায় নিরাপত্তা পরিষদকে এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

9. দুটি পদ্ধতিতে নিরাপত্তা পরিষদ এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।

[a] বিশ্বের কোথাও শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে নিরাপত্তা পরিষদ প্রথমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করবে।

[b] শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ মীমাংসার পদ্ধতিগুলি ব্যর্থ হলে নিরাপত্তা পরিষদ চরম পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে। যেমন—শান্তিভঙ্গকারী দেশের সঙ্গে সাময়িকভাবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করা, সাহায্য বন্ধ করা, স্থলপথ, জলপথ, আকাশপথ বন্ধ করা, ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা প্রভৃতি।

[ii] শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত কাজ : পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যে-কোনো দেশে শান্তিরক্ষা ও বিরোধ মীমাংসার দায়িত্বও নিরাপত্তা পরিষদের হাতে অর্পণ করা হয়েছে।কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ, গৃহযুদ্ধ, দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমন ইত্যাদির জন্য নিরাপত্তা পরিষদ এই শান্তিরক্ষার কাজ করে থাকে। এর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপত্তা পরিষদকে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠাতে হয়। এটি নিরাপত্তা পরিষদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

 Watch Video and Visit my Website StudyTripura.Com

দ্বিতীয় ভাগ :

স্বাধীনোত্তর ভারতের রাজনীতি জাতি গঠনে প্রতিবন্ধকতা

সঠিক উত্তরটি বেছে নাও :মান-1

1.1947 খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাজনের সময় গভর্নর জেনারেল ছিলেন—

(a)লর্ড মাউন্টব্যাটেন (b) লর্ড মিন্টো (c)লর্ড ক্যানিং (d) এদের কেউই নয়

উ:(a)লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

2.নিজামের আধাসামরিক বাহিনীর নাম ছিল-(a) সামরিক সেনা (b)রাজাকার বাহিনী (c)মুসলিম বাহিনী (d)কোনোটিই নয়

উ:(b)রাজাকার বাহিনী।

3.গণভোটের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়—(a)জুনাগড়(b)মণিপুর (c)হায়দরাবাদ(d)কাশ্মীর

উ:(a)জুনাগড়।

4.পট্টি শ্রীরামালুর অনশন করে মৃত্যু হয়-(a)10 দিন (b)56 দিন (c)30 দিন (d)60 দিন

:b)56 দিন।

5.মণিপুরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়—

(a)জানুয়ারি, 1945 খ্রিস্টাব্দে (b)সেপ্টেম্বর, 1947 খ্রিস্টাব্দে (c)জুন, 1948 খ্রিস্টাব্দে (d)আগস্ট, 1947 খ্রিস্টাব্দে

উ: (c)জুন,1948 খ্রিস্টাব্দে

6.’নিয়তির সঙ্গে মিলন’ ভাষণ দান করেন(a) মহাত্মা গান্ধি(b)জওহরলাল নেহরু(c)ড. বি. আর. আম্বেদকর(d)মতিলাল নেহরু

উ:(b)জওহরলাল নেহরু।

7. রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয়—(a) 1956 খ্রিস্টাব্দে(b) 1957 খ্রিস্টাব্দে(c) 1954 খ্রিস্টাব্দে (d)1959 খ্রিস্টাব্দে

উ: (a)1956 খ্রিস্টাব্দে।

এক কথায় উত্তর দাও

1. রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে গঠিত হয় ?

উত্তর: রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয় ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে।

2. ‘A Train to Pakistan’ গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তর: A Train to Pakistan’ গ্রন্থের লেখক ছিলেন খুশবস্ত সিং।

3. ত্রিপুরা কবে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা পায় ?

উত্তর: ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ২১ জানুয়ারি ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা পায়।

4. কে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠনের দাবিতে অনশন করে মৃত্যু বরণ করেন?

উত্তরঃ পট্টি শ্রীরামুলু অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠনের দাবিতে অনশন করে মৃত্যুবরণ করেন।

5. গোয়ায় কাদের উপনিবেশ ছিল?

উত্তরঃ গোয়ায় পোর্তুগিজদের উপনিবেশ ছিল।

6. রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তরঃ রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সভাপতি ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ফজল আলি

7. ভারতের রাজনীতিতে ‘লৌহ মানব’ নামে কে পরিচিত?

উত্তরঃভারতের রাজনীতি সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল ‘লৌহ মানব’ নামে পরিচিত।

8. ‘জিন্দানামা’—গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তর: ‘জিন্দানামা’ গ্রন্থের লেখক হলেন ফরেজ আহমেদ ফয়েজ।

9. কাশ্মীরের কোন্ রাজা ভারতের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ চুক্তি করেন?

উত্তর: কাশ্মীরের রাজা হরিসিং ভারতে সঙ্গে সংযুক্তিকরণ চুক্তি করেন।

10. ভারতের কোন প্রদেশে প্রথম সর্বজনীন প্রাপ্তবয়সের ভিত্তিতে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ভারতের যে প্রদেশে প্রথম সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভিত্তিতে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তা হল মণিপুর।

11. ভারতে কয়টি রাজন্য শাসিত রাজ্য ছিল?

উত্তর: ভারতে ৫৬৫ টি রাজন্য শাসিত রাজ্য ছিল।

12. সীমান্ত গান্ধি কাকে বলা হয়?

উত্তর: খান আব্দুল গফফর খানকে সীমান্ত গান্ধি বলা হয়।

13. বোধচন্দ্র সিং কে ছিলেন?

উত্তর: বোধচন্দ্র সিং ছিলেন মণিপুরের মহারাজা।

14. রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাসের পরে ক-টি রাজ্য গঠিত হয়েছিল? |

উত্তর: রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাসের পর ১৪ টি রাজ্য গঠিত হয়েছিল এবং ছয়টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়েছিল।

15. যে রাজন্য শাসিত রাজ্য গণভোটের মাধ্যমে ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তার নাম কী ?

উত্তর: যে রাজন্য শাসিত রাজ্য গণভোটের মাধ্যমে ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তার নাম জুনাগর।

16. রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে সরকারের কাছে তার প্রতিবেদন পেশ করে?

উত্তর: ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন তার প্রতিবেদন পেশ করে।

17.  কবে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয়

উত্তর: ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয়।

18. কোন্ রাজন্য শাসিত রাজ্যের শাসক নিজাম উপাধি গ্রহণ করতেন?

উত্তর: রাজন্য শাসিত হায়দ্রাবাদের শাসক নিজাম উপাধি গ্রহণ করতেন।

19. কত দিন অনশন করার পর পট্টী শ্রীরামুলু-র মৃত্যু হয়?

উত্তরঃ ৫৬ দিন অনশন করার পর পট্টী শ্রীরামুলু-র মৃত্যু হয়।

20.  রাজন্য শাসিত রাজ্যগুলিকে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রেঅন্তর্ভুক্ত করতে কে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন?

উত্তর: রাজন্য শাসিত রাজ্যগুলিকে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করতে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন।

21. বর্তমানে ভারতে কয়টি অঙ্গ রাজ্য রয়েছে?

উত্তর: বর্তমানে ভারতে ২৮টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে।

22. হায়দ্রাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর: হায়দ্রাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হলেন নিজাম-উল মুলুক।

23.  ‘নিয়তির সঙ্গে মিলন’ ভাষণটি কী?

উত্তর: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী গণপরিষদের বিশেষ অধিবেশনে যে ভাষণটি প্রদান করেন তা ‘নিয়তির সঙ্গে মিলন’ নামে পরিচিত।

24. স্বাধীন ভারতবর্ষ কয় ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিল?

উত্তর: স্বাধীন ভারতবর্ষ তিন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিল।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও মান –4

1.রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের কাজ কী ছিল ?কমিশনের উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলি কী ছিল ?

উ: কমিশনের কাজ :1953 খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করে। রাজ্যগুলির সীমানার পুনর্গঠন করার জন্য।এই কমিশন গঠন করা হয়েছিল

কমিশনের সুপারিশ : রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলির পুনর্গঠন।

কমিশনের উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলি ছিল নিম্নলিখিত

[i] ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত ক খ গ এবং ঘ —এই চার শ্রেণির রাজ্য ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করে সমগ্র দেশকে 16টি রাজ্য ও 3টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।

[ii]16টি রাজ্যকে সমপর্যায়ভুক্ত করা এবং প্রতিটি রাজ্যে প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে নিযুক্ত করা। কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা শাসিত অঞ্চল হবে 3টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।

2. রাষ্ট্র নির্মাণের পথে প্রতিবন্ধকতাসমূহ কী কী উল্লেখ করো।

ঊ: ভারত স্বাধীনতা লাভ করে 1947 খ্রিস্টাব্দের 15 আগস্ট। দেশ ভাগের পরে ভারত যেসব সমস্যার সম্মুখীনহয়েছিল, সেগুলি হল-

[i] ঐক্যবদ্ধ ভারত গঠনে প্রতিবন্ধকতা : ভারতে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষ বসবাস করে এবং এখানকার জনগণ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুসরণ করে। এইরকম বিবিধতায় ভরপুর দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা ছিল একটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা।

[ii] গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা : স্বাধীনতার পর সংবিধান অনুযায়ী ভারতে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। এখানে নাগরিকদের মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। কিন্তু বাস্তবে এগুলিকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সামনে আসে।

[iii] রাজন্যশাসিত প্রদেশের অন্তর্ভুক্তিতে প্রতিবন্ধকতা : স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে স্বাতন্ত্র্য রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন এমন রাজ্যগুলি হায়দরাবাদ, ভূপাল, মণিপুর প্রভৃতি। এছাড়া জম্মু-কাশ্মীর, মহীশূর ও জুনাগড়ের নবাবও ছিলেন। এসব রাজ-রাজাদের ঐক্যবদ্ধ ভারতে অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ নিতে হয়।

Chapter-2 একদলীয় আধিপত্যের যুগ

সঠিক উত্তরটি বেছে নাও :

1. কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল গঠিত হয়- (a)1934 খ্রিস্টাব্দে (b)1940 খ্রিস্টাব্দে (c)1945 খ্রিস্টাব্দে (d)1950 খ্রিস্টাব্দে

2. স্বতন্ত্র দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন(a)শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়(b) চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী(c) কে. এম. মুন্সি(d) রাজীব গান্ধি

3. তেলেঙ্গানা কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়—(a)ভারতের কমিউনিস্ট দল (b) কংগ্রেস দল(c)ভারতীয় জনসংঘ(d)স্বতন্ত্র দল

4. মাইলা আচল-এর লেখক-(a) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়(b) ফণীশ্বর নাথ(c)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(d)ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

5. ভারতে রিপাবলিকান পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হলেন(a) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী(b)ড. বি. আর. আম্বেদকর(c)জওহরলাল নেহরু(d)ফতিমা বিবি

6. সোশ্যালিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত(a) রামমনোহর লোহিয়া(b)সুভাষচন্দ্র বসু(c) সর্দার প্যাটেল(d)ড. বি. আর. আম্বেদকর

7. কোন লোকসভা নির্বাচনে প্রথম EVM ব্যবহার করা হয়।(a)চতুৰ্দশ লোকসভা (b)পঞ্চদশ লোকসভা(c)ষোড়শ লোকসভা (d)সপ্তদশ লোকসভা

8. ভারতীয় সংবিধান কার্যকর করা হয়।(a)1949 খ্রিস্টাব্দের 26শে নভেম্বর।(b)1940 খ্রিস্টাব্দে 23 শে নভেম্বর(c)1945 খ্রিস্টাব্দে 26শে জানুয়ারি(d)1950 খ্রিস্টাব্দে 26শে জানুয়ারি।

নীচের প্রশ্নগুলি এক কথায় উত্তর দাও :

1.স্বাধীন ভারতে করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় ?

উত্তর: 26 জানুয়ারি, 1950 খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন ভারতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।

2. ভারতের প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে ছিলেন ?

উত্তর: ভারতের প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সুকুমার সেন।

3. ভারতবর্ষে প্রথম লোকসভার সাধারণ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর:1952 খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

4.লোকসভার প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কয়টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল ?

উত্তর: লোকসভার প্রথম সাধারণ নির্বাচনে 489টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।

5.লোকসভার প্রথম নির্বাচনে কোন দল দ্বিতীয় সর্বাধিক আসন পায় ?

উত্তর: লোকসভার প্রথম নির্বাচনে ভারতেরকমিউনিস্ট পার্টি 16টি আসনে জয়লাভ করে দ্বিতীয় সর্বাধিক আসন পায়।

6.স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী কেছিলেন ?

উত্তর: স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ।

7.Scheduled Caste Federation কে গঠন করেন ?

উত্তর: ড. বি. আর. আম্বেদকর Scheduled Caste Federation গঠন করেন।

8. কে কত খ্রিস্টাব্দে জনসংঘ দলের গঠন করেছিল ?

উত্তর: 1951 খ্রিস্টাব্দে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভারতীয় জনসংঘের গঠন করেছিল।

9.কে কংগ্রেস দলকে সরাইখানার সঙ্গে তুলনা করেছেন ?

উত্তর: ড. বি. আর. আম্বেদকর কংগ্রেস দলকে ‘সরাইখানা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন।

10.স্বাধীন ভারতে প্রথম অ-কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন ?

উত্তর:স্বাধীন ভারতে প্রথম অ-কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কেরলের ই. এম. এস. নাম্বুদ্রিপাদ। তিনি 1957 খ্রিস্টাব্দে প্রথম ক্ষমতায় আসেন।

11. কে ইন্ডিপেন্ডেন্ট লেবার পার্টিপ্রতিষ্ঠা করেন ?

উত্তর:ড. বি. আর. আম্বেদকর ইন্ডিপেন্ডেন্ট লেবারপার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।

12.EVM-এর পুরো নাম কী ?

উত্তর: EVM-এর পুরো নাম Electronic Voting Machine.

13. একাত্ম মানবতাবাদের ধারণার প্রণেতা কে ছিলেন ?

উত্তর:একাত্ম মানবতাবাদের ধারণার প্রণেতা হলেন দীনদয়াল উপাধ্যায়।

আরও প্রশ্ন সমাধান করা হয়েছে

14.কোন রাজনৈতিক দল এক দল, এক সংস্কৃতি এবং এক জাতি ধারণার উপর জোর দিয়েছিল?

উত্তর: ভারতীয় জনসংঘ।

15. ভারতের কোন রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন A.K.  গোপালন, ই.এম.এস.  নাম্বুদিরিপদ, আর এসএ ডাঙ্গে?

উত্তর: ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি।

16.কংগ্রেস সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির নাম বলুন।  1948 সালের পর এই দলকে কী নাম দেওয়া হয়েছিল?

উত্তর: কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আচার্য নরেন্দ্র দেব এবং 1955 সালের পর এটি সমাজতান্ত্রিক দল হিসাবে পরিচিত হয়।

17.সমাজতান্ত্রিক দলের উৎপত্তি কিভাবে?

উত্তর: কংগ্রেস সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আচার্য নরেন্দ্র দেব এবং 1955 সালের পর এটি সমাজতান্ত্রিক দল হিসাবে পরিচিত হয়।

18. পিআরআই কবে এবং কার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিপ্লবী পার্টি’ (পিআরআই) 1929 সালে মেক্সিকোতে প্লুতারিও ইলিয়াস ক্যালেস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা মেক্সিকান বিপ্লবের উত্তরাধিকারের প্রতিনিধিত্ব করেছিল।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (40 টি শব্দের মধ্যে) প্রতিটি প্রশ্নের মান ২

1.ভারতে সর্বপ্রথম কখন এবং কেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) ব্যবহার করা হয়েছিল?

উত্তর: ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনটি ভারতে 1990 সালে প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছিল। গণনা করার সময় আরও নির্ভুলতা এবং ন্যায্য ডিলিংয়ের জন্য সেইসাথে এটি বুথ ক্যাপচারিং এবং অন্যান্য অসদাচরণগুলি পরীক্ষা করতে সহায়তা জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

2.এক দলীয় আধিপত্য এবং এক দলীয় ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য করুন।

উত্তর: এক দলের আধিপত্য বলতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সাথে জনপ্রিয় ঐক্যমত্যের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব বোঝায় অর্থাৎ ভারতে কংগ্রেস যেখানে একটি দলীয় ব্যবস্থা একটি নির্দিষ্ট দলের জয় নিশ্চিত করার জন্য অসদাচরণ, জালিয়াতি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে প্রতিনিধিত্বকে বোঝায়।

3. ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের দুটি কাজ লেখো।

ঊ: ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের দুটি কাজ হল-

[i] ভোটার তালিকা তৈরি, সংশোধন ও সংযোজন করা।

[ii] নির্বাচনের সময় ও নির্ঘণ্ট প্রস্তুত করা।

4.সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার বলতে কী বোঝো?

উত্তর:স্ত্রী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে 18 বছর বয়স্ক সমস্ত নাগরিকের ভোটাধিকারকে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ভোটাধিকার বলে।

5.অন্তর্বর্তী সরকার কী ?

ঊ: 1964 খ্রিস্টাব্দে নব নির্বাচিত গণপরিষদের সদস্যদের নিয়ে এবং ব্রিটিশ ভারতকে স্বাধীন ভারতে রূপান্তরকরণে সহায়তা প্রদান কল্পে ভারতে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তা অন্তর্বর্তী সরকার নামে পরিচিত।

6. একদলীয় ব্যবস্থা কী ?

উঃ যে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একটিমাত্র রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি থাকে, তাকে একদলীয় ব্যবস্থা বলে।

7.স্বার্থগোষ্ঠী বলতে কী বোঝো?

উঃ সমাজে বসবাসকারী যে সকল গোষ্ঠী নিজ নিজ গোষ্ঠীর স্বার্থে আন্দোলন গড়ে তোলে ও দাবি-দাওয়া আদায়ে সরকারকে প্রভাবিত করে, তাকে স্বার্থগোষ্ঠী বলে। যেমন—কৃষক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, ছাত্র সংগঠন ইত্যাদি।

8. সমাজতান্ত্রিক দল বলতে কী বোঝায় ?

উঃ যে দল পুঁজিবাদের সমালোচক এবং তাদের লক্ষ্য সমাজতান্ত্রিক ধাঁচে সমাজ গঠনের, যাহবে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক উপায়ে,তাকে সমাজতান্ত্রিক দল বলে।

9. জনসংঘ কী ?

উ: জনসংঘ দল এক দেশ, এক সংস্কৃতি, এক জাতির ধারণার ওপর জোর দেয় এবং ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে আধুনিক প্রগতিশীল ও শক্তিশালী ভারত গঠনে বিশ্বাসী।

10. স্বতন্ত্র দল কী ?

উত্তর:1959 খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের মধ্যে যে গোষ্ঠী ভূমির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ ও সমবায় প্রথায় কৃষিকাজের পক্ষপাতী ছিলেন, তাদের গঠিত দলকে স্বতন্ত্র দল বলে।

11.দলাদলি বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর: একই দলের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর যে মতাদর্শের বা স্বার্থের দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয় তাকে দলাদলি বলে। যেমন— কংগ্রেস দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ স্বার্থের দ্বন্দ্ব তথা দলাদলি স্বাধীনোত্তর ভারতের রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে।

12.বিরোধী দল বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর: যে দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ না করলেও আইনসভায় শাসক দলের ইতিবাচক সমালোচনার মাধ্যমে তাকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করে তাকে বিরোধী দল বলে l

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও? মান -4

1. ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ভূমিকা আলোচনা করো।

উ: 1947 খ্রিস্টাব্দের 15 আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ

করার পর দেশ শাসনের জন্য পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।এই সরকারে কংগ্রেস ছাড়াও ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, বাবাসাহেব আম্বেদকরের মতো বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। 1951 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর থেকে 1952 খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন ও একই সঙ্গে রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচন হয়।

এইনির্বাচন নিম্নলিখিত কারণে  ভারতবাসীর কাছে অপরিপূর্ণ ছিল।

[i] তৎকালীন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বিভিন্ন দেশের নেতৃবর্গ স্থির করে যে, তাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাদের বক্তব্য ছিল, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করলে বিভেদ ও সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যা একটি সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের জাতীয় ঐক্যের পক্ষে অন্তরায়। কিন্তু তা সত্বেও 1950 খ্রিস্টাব্দের 26 জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর ভারত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠার ঝুঁকি নেয় এবং সেই নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। এই দিক থেকে প্রথম সাধারণ নির্বাচন ছিল অভূতপূর্ব।

[ii] সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার: বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ইউরোপের বহুদেশে মহিলাদের ভোটাধিকার স্বীকৃত ছিলনা।কিন্তু 1952 খ্রিস্টাব্দের প্রথম সাধারণনির্বাচনে ভারতের নির্বাচন কমিশন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-স্ত্রী-পুরুষ-ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষেসর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার প্রদানেরসিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যা ছিল অভূতপূর্বও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং গণতন্ত্র বিকাশেরপক্ষে শুভ।

[iii] সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা: প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময় দেশে মোট 17 কোটি ভোটার ছিলেন যাঁরা প্রায় 3200 বিধায়ক এবং 489 জন লোকসভার সদস্যদের নির্বাচিত করেছিলেন। এই 17 কোটি ভোটদাতাদের মধ্যে মাত্র 15 শতাংশ ছিলেন স্বাক্ষর।সেইজন্য নির্বাচন কমিশনকে কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়েছিল। 1951 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর থেকে 1952 খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রচারাভিযান,ভোটগ্রহণ এবং ভোট গণনা সম্পন্ন করতে ছয় মাস সময় লেগেছিল। নির্বাচন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। জনগণ। অতি উৎসাহের সঙ্গে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নির্বাচনে প্রায় অর্ধেকের বেশি ভোটার ভোটদানে অংশ নিয়েছিলেন এবং পরাজিত প্রার্থীরাও এই নির্বাচনের ফলাফলকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

[iv]ভোটদান পদ্ধতি : প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনি প্রতীক চিহ্ন-সহ একটি বাক্স রাখা হবে। প্রত্যেক ভোটদাতাকে একটি ফাঁকা ব্যালট পেপার দেওয়া হবে যেটি তার পছন্দমতো প্রার্থীর ভোট বাক্সে ফেলবে।প্রায় 20 লক্ষ স্টিলের বাক্স এই উদ্দেশ্যেব্যবহার করা হয়েছিল।

[v] ফলাফল: প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস দল 489টি লোকসভা আসনের মধ্যে 364টি আসন পেয়েছিল এবং তারা মোট প্রাপ্ত ভোটের 44.99 শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আসনসংখ্যার নিরিখে বৃহত্তম বিরোধী দলের স্থান লাভ করেছিল CPI, তারা 16টি আসন পেয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীরাও এই নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

2.স্বতন্ত্র দল কেন গঠিত হয়েছিল ? এই দলের কর্মসূচিগুলি উল্লেখ করো।

ঊঃ কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনের প্রস্তাব অনুযায়ী জমির সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ,রাজ্য সরকার কর্তৃক খাদ্যশস্যের বাণিজ্য ব্যবস্থার অধিগ্রহণ এবং সমবায় চাষ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। এর প্রতিবাদে আহ্বান জানিয়ে 1959 খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে গঠিত হয় স্বতন্ত্র দল। এই দলের নেতা ছিলেন— সি. রাজা গোপালাচারী, কে.এম. মুন্সি, এন. জি. রঙ্গা প্রমুখ।

স্বতন্ত্র দলের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ছিল—

[il সরকারের গৌণ ভূমিকা : স্বতন্ত্র দল অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৌণ ভূমিকাপালনে বিশ্বাসী। এই দলের মতে শুধু ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মাধ্যমে সমৃদ্ধি আসতে পারে। বেসরকারিকরণে বিশ্বাসী : বিকাশমূলক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অর্থনীতির কেন্দ্রীভূত পরিকল্পনা, জাতীয়করণ এবং সরকারি পরিসেবার বিরোধী ছিল স্বতন্ত্র দল। অর্থাৎ,এই দল বেসরকারিকরণে বিশ্বাসী ছিল।

[iii] কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার : স্বতন্ত্র দল কৃষিক্ষেত্রে ভূমি সিলিং, সমবায় চাষ এবং খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসার ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিরোধী ছিল

[iv] কর ব্যবস্থার বিরোধী : স্বতন্ত্র দল কর ব্যবস্থার বিরোধী ছিল এবং লাইসেন্সিং ব্যবস্থা উঠিয়ে দেবার দাবি করত।

(iv)জোটনিরপেক্ষতার বিরোধী: স্বতন্ত্র দলজোটনিরপেক্ষতার নীতি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার নীতির বিরোধিতা করে এবং আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষপাতি ছিল।

3.একদলীয় আধিপত্যবাদী ব্যবস্থার বিস্তারকি ভারতীয় রাজনীতির গণতান্ত্রিক স্বরূপকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করেছিল ?—আলোচনা করো।

উঃ একদলীয় আধিপত্য ব্যবস্থা: একদলীয় আধিপত্য ব্যবস্থা ভারতীয় রাজনীতির গণতান্ত্রিক চরিত্রকে 1967 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রভাবিত করে রেখেছিল—এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যদিও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল যেমন—CPI, BJS, DSP এবং SP প্রথম লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। যদিও এইসব রাজনৈতিক দলগুলি শুধুমাত্র লোকসভা ও রাজ্য আইনসভাগুলিতে তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পেরেছিল, কিন্তু ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা : এটি সত্যি যে,এই বিরোধী দলগুলি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি ও নিয়মশৃঙ্খলাবদ্ধভাবে তাদের সমালোচনা জারি রেখেছিল। কিন্তু লোকসভায় কংগ্রেসের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জন্য বিরোধীদের এই সমালোচনায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি। পাশাপাশি জওহরলাল নেহরুর ব্যাপক ব্যক্তিত্বের কাছে বিরোধী কোনো নেতাপৌঁছোতে পারেনি, যার প্রভাব জনগণের ওপর পড়বে।তাই এই সময়টি কংগ্রেস দলের একাধিপত্যের সময়কাল হিসেবে পরিচিত।

পরিকল্পিত উন্নয়নের রাজনীতি

1. ভারতে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু হয়

(i) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে (ii) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে (iii) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে (iv) ২০০১ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর:(ii) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে।

*১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে ১এপ্রিল এটি শুরু হয়। কার্যকাল ১৯৫১-৫৬

*প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

2. দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু হয়-

(i) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে (ii) ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে (iii) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে (iv) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর: (iv) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে

3. ভারতে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান রূপকার কে ছিলেন-

(i) বল্লভ ভাই প্যাটেল (ii) পি. সি. মহলানবিশ (iii) জওহরলাল নেহরু (iv) এদের কেউ নন |

উত্তর: (ii) পি. সি. মহলানবিশ।

*দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মূল্ ও ভারী শিল্পের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

*পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নাম পরিবর্তন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এর নামকরণ করা হয়েছে নীতি আয়োগ।

4. নীতি আয়োগ কার্যকরী হয়

(i) ১ জানুয়ারি ২০১৪ (ii) ১ জানুয়ারি ২০১৫ (iii) ১ মে ২০১৬ (iv)৩ জুন ২০১৭

উত্তর: (ii) ১ জানুয়ারি ২০১৫।

5. দুগ্ধ মানব হিসাবে পরিচিত—

(i) এম পি সিং (ii)ভার্গিস কুরিয়েন (iii) জে সি কুমারপ্পা  (iv) কে এন রাজন

উঃ (ii) ভার্গিস কুরিয়েন।

6. ১৯৬০-এর দশকে চরম খাদ্য সংকট ছিল—

(i) বিহারে (ii) ত্রিপুরায় (iii) হরিয়ানায় (iv) উত্তর প্রদেশে

উত্তর: (i) বিহারে।

7. ‘Economy of Performance’ বইটির লেখক—

(i) মহালানবিশ(ii) জে সি কুমারাপ্পা।(iii) জওহারলাল নেহরু (iv) ড.বি.আর আম্বেদকর

উত্তর: (ii) জে সি কুমারাপ্পা।

8. Plan Holiday ছিল—

(i) তৃতীয় পরিকল্পনায় (ii) চতুর্থ পরিকল্পনায় (iii) পঞ্চম পরিকল্পনায় (iv) ষষ্ঠ পরিকল্পনায়

উত্তর: (ii) চতুর্থ পরিকল্পনায়

9. ভাকরা-নাঙ্গাল ও হীরাকুঁদ বাঁধ নির্মাণ হয়—

(i) চতুর্থ পরিকল্পনা (ii) তৃতীয় পরিকল্পনা (iii) দ্বিতীয় পরিকল্পনা (iv) প্রথম পরিকল্পনা

উত্তর:(iii) দ্বিতীয় পরিকল্পনা।

10. MOU চুক্তির সম্পূর্ণ নাম হল

(i) Memoradum of Understanding (ii) Memorandum of Urbanisation (iii) Memorandum of Usefulness (iv) Memorandum of Unification

উত্তর: (i) Memoradum of Understanding.

11. ভারতে সবুজ বিপ্লবের নায়ক নামে পরিচিত

(i) জি এস সিংহ (ii) এম পি সিংহ (iii) ইন্দিরা গান্ধি (iv) জওহরলাল নেহরু

উত্তর: (ii) এম পি সিংহ।

17

12. প্রথম দু-দশকে ভারতকে ‘মন্থর অথচ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন—

(i) কে. এন. রাজ (ii) টি.টি.কৃয়মাচারি (iii) পি.সি.মহলানবিশ (iv) কানু ব্যানার্জি

উত্তর: (i) কে. এন. রাজন

13. পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন

(i) রাষ্ট্রপতি (ii) প্রধানমন্ত্রী (iii) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (iv) অর্থমন্ত্রী

উত্তর: (ii) প্রধানমন্ত্রী।

14. ভারত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আদর্শ গ্রহণ করে

(i) আমেরিকার অনুকরণে (ii) চিনের অনুকরণে (iii) সোভিয়েত ইউনিয়নের অনুকরণে (iv) জাপানের অনুকরণে

উত্তর: (iii) সোভিয়েত ইউনিয়নের অনুকরণে।

15. ভারতে পরিকল্পনা কমিশন গঠিত হয় –

(i) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে (ii) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে (iii) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে (iv) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে

উত্তর: (iii) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে।

16. দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা যে নামে পরিচিত, তা হল –

(i) মহলানবিশ পরিকল্পনা(ii) প্যাটেল পরিকল্পনা (iii) নেহরু পরিকল্পনা (iv) কুমারাপ্পা পরিকল্পনা

উত্তর: (i) মহলানবিশ পরিকল্পনা।

17. ‘পথের পাঁচালী’ চলচ্চিত্রটি পরিচালক

(i) সত্যজিৎ রায় (ii) ঋত্বিক ঘটক (iii) গৌতম ঘোষ (iv) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

উত্তর: (i) সত্যজিৎ রায়।

18. ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়

(i) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে (ii) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে (iii)১৯৩১খ্রিস্টাব্দে (iv)১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর: ১৯৩১খ্রিস্টাব্দে

1. সবুজ বিপ্লবের ফলে ভারতে কোন শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ?

উত্তর: সবুজ বিপ্লবের ফলে ভারতে গম শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

2.  ভারতে সবুজ বিপ্লবের নায়ক কে?

উত্তর: ভারতে সবুজ বিপ্লবের নায়ক হলেন এম ইপ সিং।

3. অপারেশন ফ্লাড কী ?

উত্তর: ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে যে  গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু হয়েছিল তা অপারেশন ফ্লাড নামে পরিচিত।

4. GDP-এর পুরো নাম কি?

‘উত্তর: GDP-এর পুরো নাম হল Gross Domestic Product.

5. পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তর: পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম সভাপতি ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।

6. নীতি আয়োগ কবে গঠিত হয়?

উত্তর: ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ১ জানুয়ারি নীতি আয়োগ গঠিত হয়।

7. NITI-এর পুরো নাম কী ?

উত্তর: NITI-এর পুরো নাম হল National Institution for Transforming India |

8. Indian Statistical Institute-এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর: Indian Statistical Institute-এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন প্রশান্তকুমার মহলানবিশ। 1931 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা হয়

9. সবুজ বিপ্লব কখন শুরু হয়?

উত্তর: বিংশ শতকের ছয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে (১৯৬৬ – ৬৯) সবুজ বিপ্লব শুরু হয়।

10. ভারতে পরিকল্পনার মূল স্থপতি বা চেয়ারম্যান কে?

উত্তর: ভারতে পরিকল্পনার মূল স্থপতি হলেন জওহরলাল নেহরু।(প্রধানমন্ত্রী)

11. কবে নীতি আয়োগের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি নীতি আয়োগের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

12. শ্বেত বা সাদা বিপ্লব কবে শুরু হয়?

উত্তর: শ্বেত বা সাদা বিপ্লব শুরু হয় ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ১৩ জানুয়ারি।

13. ভারতীয় লোকদল কে গঠন করেন?

উত্তর: ভারতীয় লোকদল গঠন করেন চৌধুরী চরণ সিং।

14. Economy of Permanence’ বইটির লেখক কে?

উত্তর: ‘Economy of Permanence’ বইটির লেখক হলেন জে সি কুমারাপ্পা।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। মান-3

1. নীতি আয়োগের কার্যাবলি আলোচনা করো।

উ: পরিকল্পনা কমিশনের উত্তরসূরি হিসেবে ভারতবর্ষে 2015 খ্রিস্টাব্দের 1 জানুয়ারি নীতি আয়োগ গঠিত হয়।

নীতি আয়োগের কার্যাবলি হল—

[i] সমন্বয় সাধন করা: নীতি আয়োগ কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়নে সহায়তা করে। এই ধরনের প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে রাজ্যগুলি যেমন শক্তিশালী হয়, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে ওঠে।

[ii]কৌশল নির্মাণ : নীতি আয়োগ বাস্তবসম্মত প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের কলাকৌশল রচনা করবে। গ্রামস্তর থেকে ক্রমান্বয়ে সরকারের ওপরের স্তরে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কলাকৌশলের দিক নির্দেশ করবে।

[iii]পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন : নীতি আয়োগ বিভিন্ন প্রকল্পে তথ্য উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করে। প্রকল্প রূপায়ণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তদারকি ও মূল্যায়নের দায়িত্ব নীতি আয়োগের।

2.সবুজ বিপ্লবের দুটি ইতিবাচক ফলাফল এবং নেতিবাচক ফলাফল লিখ?

উ: সবুজ বিপ্লবের দুটি ইতিবাচক ফলাফল হল-

[1] সবুজ বিপ্লবের ফলে খাদ্যশস্যের বিশেষ করে ধান ও গমের উৎপাদন বিপুল পরিমাণ

বৃদ্ধি পেয়েছিল।

[ii] দ্বিতীয়ত, সবুজ বিপ্লবের সুবাদেই ভারত খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে 1971 খ্রিস্টাব্দে পিএল 480 অনুযায়ী আমেরিকা থেকে খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছিল।

এই বিপ্লবের দুটি নেতিবাচক দিক হল

[i] সবুজ বিপ্লব প্রকল্প বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে ও রাজ্যের মধ্যে বৈষম্যকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছিল সেইসব অঞ্চলেই যেখানে জল ও অন্যান্য উপাদান- গুলির সরবরাহ সুনিশ্চিত করা যাবে এবং কৃষিসারের বিপুল সরবরাহ-সহ ঋণদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে। এইগুলির সবই হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে যথেষ্ট পরিমাণে ছিল। এইভাবে, এইসব রাজ্যগুলিতে উচ্চফলনশীল জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

[ii] সবুজ বিপ্লবের দরুন আঞ্চলিক বৈষম্য।ছাড়াও কৃষকদের মধ্যে শ্রেণিবিন্যাস আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল হওয়ার কারণে সবুজ বিপ্লবের সুযোগসুবিধা গ্রহণ করে ধনী ও স্বচ্ছল হয়ে উঠেছে। অপরদিকে, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা ক্রমশ অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যায় সর্বহারাতে পরিণত হয়েছে।

3.প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় কী ছিল?

উত্তর: প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় বা প্রত্যাশা : প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিষয় বা প্রত্যাশাগুলির মধ্যে যেগুলি উল্লেখযোগ্য ছিল, সেগুলি হল-

(i) দারিদ্র্যতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা : দারিদ্রতার শৃঙ্খল থেকে দেশের অর্থনীতিকে মুক্ত করা।

(ii) কৃষিক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা : দেশ বিভাগের কারণে কৃষিক্ষেত্র ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল,পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল কৃষি, বাঁধ নির্মাণ এবং সেচ ইত্যাদি খাতকে অগ্রাধিকার প্রদান করা।

(iii) ভূমি সংস্কার : পরিকল্পনা কমিশন গবেষণা দ্বারা চিহ্নিত করতে পেরেছিল যে, দেশের অসম বণ্টন ব্যবস্থাই কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড়ো প্রতিবন্ধকতা। তাই প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা

ছিল ভূমি সংস্কারের মাধ্যমে এই প্রতিবন্ধকতা দূর করা।

(iv) জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা : প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আর একটি উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় আয় বৃদ্ধিকরা।

3.কীভাবে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষি প্রথমটি থেকে স্বতন্ত্র ছিল?

উত্তর:দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাটি যেসব থেকে স্বতন্ত্র ছিল, সেগুলি হল-

(i)প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ধীর গতিতে চলার নীতি অনুসরণ করলেও দ্বিতীয় পরিকল্পনাটি দ্রুত

রূপান্তরের দিকে মনোযোগী হয়। তাছাড়া সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রেই কিছু-না-কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে।

(ii)প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাটি ছিল কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন কৌশল, তাই কৃষি, বাঁধ নির্মাণ এবং সেচ ও

অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছিল কিন্তু দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দ্রুত শিল্পায়নের লক্ষ্যে লৌহ ও ইস্পাত সিমেন্ট ইত্যাদি মূল ও ভারী শিল্পের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক

1. দলাই লামা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন—

(i) ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে (ii) ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে (iii) ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে (iv) ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে

উত্তরঃ (iii) ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে।

2. নির্জোট আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন-

(i) পন্ডিত জওহরলাল নেহরু (ii) সুকর্নোiii) এনকুমা (iv) আব্দুল নাসের

উত্তর : (i) পন্ডিত জওহরলাল নেহরু

*নির্জট আন্দোলনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে বেলগ্রেড শহরে অনুষ্ঠিত হয়

3. ভারত-চিন যুদ্ধ (১৯৬২) এর পর পদত্যাগ করেন—

(i) সর্দার প্যাটেল (ii) বি.আর. আম্বেদকর (iii) বি.এন. রাও (iv) ভি. কে কৃষ্ণ মেনন।

উত্তর : (iv) ভি. কে কৃষ্ণমেনন

*স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পদে তিনি নিযুক্ত ছিলেন।

*তিনি আগেই বলেছিলেন চীন অদূর ভবিষ্যতে ভারত আক্রমণ করতে পারে।

4. ১৯৪০ এবং ১৯৫০-এর দশকে এশিয়ান ঐক্য ও সংহতির অন্যতম রূপকার ছিলেন-

(i) ড. বি. আর. আম্বেদকর (ii)সি. রাজাগোপালাচারী (iv) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (iii) নেহরু

উত্তর:(iii) নেহরু।

5. সবচেয়ে বেশি সংখ্যক তিব্বতি শরণার্থী বসবাস করে-

(i) হিমাচলের ধর্মশালায় (ii) আসামের ধর্মশালায় (iii) অরুণাচল প্রদেশের ধর্মশালায় (iv) সিকিমের ধর্মশালায়

 উত্তর:(i) হিমাচলের ধর্মশালায়।

6. ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে আফ্রো-এশিয়ান সম্মেলন বা বান্দুং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়

(i) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে (ii) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে (iii) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে | (iv) ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে

20

উত্তর: (ii) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে।

7. ভারতের বিদেশ নীতির লক্ষ্য ব্যক্ত করা হয়েছে—

(i) মৌলিক কর্তব্যসমূহে (ii) রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলকনীতিতে (iii) প্রস্তাবনার অংশে (iv) কোনোটিই নয় –

উত্তর:(ii) রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলকনীতিতে।

8. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-

(i) ইন্দিরা গান্ধি(ii) নেহেরু (iii) লাল বাহাদুর শাস্ত্রী (iv) অটল বিহারী বাজপেয়ী

উত্তর:(i) ইন্দিরা গান্ধি।

9.  ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী চিন সফর করেন-

(i) ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে (ii) ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে (iii) ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে (iv) ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর:(iii) ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে।

10. ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের যুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনী রাজধানী ঢাকার তিনদিক ঘিরে ফেলে-

(i) ১০ দিনের মাথায় (ii) ১৫ দিনের মাথায় (iii) ১৮ দিনের মাথায় (iv) ২০ দিনের মাথায়

উত্তর:(i) ১০ দিনের মাথায়।

11. নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি (NEFA) হিসাবে পরিচিত-

(i) আসাম (ii) অরুণাচল প্রদেশ (iii) মেঘালয় (iv) সিকিম

উত্তর:(ii) অরুণাচল প্রদেশ।

12. ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে চিন-ভারত যুদ্ধের পর “অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগো …” গানটি গেয়েছেন-

(i) আর. ডি বর্মন (ii) শচীন দেববর্মন (iii) মহম্মদ রফি (iv) লতা মঙ্গেশকর

উত্তর: (iv) লতা মঙ্গেশকর।

13. চিন ভারত আক্রমণের সময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন-

(i) নেহরু(ii) সি. রাজাগোপালাচারী (iii) ভি. কে. কৃষ্ণ মেনন (iv) বল্লভভাই প্যাটেল |

উত্তর:(iii) ভি. কে. কৃষ্ণ মেনন।

21

14.  নেহরুর নেতৃত্বে ভারত এশিয়ান রিলেশনস কনফারেন্স আহ্বান করা হয়-

(i) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে (ii) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে (iii) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে (iv) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে

উত্তর:(ii) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে।

15.  ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুলাই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির নাম হল

(i) দিল্লি চুক্তি (ii) লাহোর চুক্তি (iii) করাচি চুক্তি (iv) সিমলা চুক্তি –

উত্তর:(iv) সিমলা চুক্তি

16. ১৯৬৬খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে তাসখণ্ড চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়-

(i) নেহরু এবং আয়ুব খানের মধ্যে (ii) লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং আয়ুব খানের মধ্যে (iii) ইন্দিরা গান্ধি ও ভুট্টোর মধ্যে(iv) অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং ইয়াহিয়া খানের মধ্যে

 উত্তর:(ii) লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং আয়ুব খানের মধ্যে।

1. NEFT এর পুরো নাম লিখ?

উত্তর:North East Frontier Agency

2. ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি কবে হয়েছিল?

উত্তর: ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি হয়েছিল।

*ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু ও চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই  এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল

3. ভারতের বিদেশীনীতির রূপকার কে?

উত্তর: ভারতের বিদেশ নীতির রূপকার হলেন জওহরলাল

4. তিব্বতের বর্তমান দলাই লামা কে?

উত্তর: তিব্বতের বর্তমান দলাই লামা হলেন তেনজিন গায়াতাসো।

5. 10 Foreign Policy of India- গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তর: Foreign Policy of India-গ্রন্থের লেখক হলেন ভি এন খান্না।

6. ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানের জনক কে?

উত্তর: ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানের জনক হলেন জাহাঙ্গির ভাবা

7. No First Use Policy- কী ?

উত্তর: No First Use Policy হল পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার থেকে বিরত থাকা বা প্রথমে ব্যবহার না করা।

8. কবে পাকিস্তান গুজরাটের ‘রণ-অফ-কুছ’অঞ্চলে শাস্ত্রে আক্রমণ চালায়?

উত্তর: ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান গুজরাটের ‘রণ-অফ-কুছ’অঞ্চলে সশস্ত্র আক্রমণ চালায়।

9. ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জনক কে?

উত্তর: ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জনক হলেন ড. এপিজে আব্দুল কালাম।

10. পঞ্চশীলের যেকোনো একটি নীতি লিখ?

উত্তর: শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান

11. আধুনিক ভারতের পররাষ্ট্রনীতির জনক কে?

উত্তর: আধুনিক ভারতের পররাষ্ট্রনীতির জনক হলেন জওহরলাল নেহরু।

১। ভারতের পারমাণবিক নীতির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী উল্লেখ করো। TBSE FINAL 2023

উত্তর: ভারতের পরমাণু নীতি : ভারতে ১৯৪০ এর দশকে হোমি জাহাঙ্গির ভাবার নেতৃত্বে প্রথম পরমাণু কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। ভারত ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটায় এবং১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে আবার রাজস্থানের পোখরানে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এভাবে ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ পরমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

ভারতের পরমাণু নীতির কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল –

দ্রুতগতিতে আধুনিক ভারত নির্মাণ : ভারতে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুতগতিতে আধুনিক ভারত নির্মাণে সচেষ্ট ছিলেন। শিল্পায়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ছিল পরমাণু কর্মসূচি।

শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য : ভারতের পরমাণু শক্তির উৎপাদনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য ব্যবহার এবং দেশের উন্নয়ন-সংক্রান্ত কাজে লাগানো।

সামরিক খাতে ব্যবহারের সামর্থ্য ব্যক্ত করা : ভারতের পরমাণু নীতি গ্রহণ ও তার বিস্ফোরণে ঘটানোর আর একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হল প্রয়োজনে সামরিক খাতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতের যে সামর্থ্য রয়েছে তা ব্যক্ত করা।

পরমাণু অস্ত্র বিহীন বিশ্ব গড়ে তোলা : ভারত শান্তির পূজারি এবং আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে বিশ্বাসী। তাই ভারত চায় যাচাইযোগ্য এবং বৈষম্যহীন পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ব্যবস্থাকে উৎসাহ দেওয়া যাতে পরমাণু অস্ত্রবিহীন বিশ্ব গড়ে তোলা যায়।

পরিশেষে বলা যায় যে, ভারত নিরস্ত্রীকরণের কথা বললেও পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তি (NPT) বা সার্বিক পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা রোধ চুক্তি (CTBT) তে স্বাক্ষর করেনি।

2. ভারতের বিদেশনীতির প্রধান নীতিসমূহ আলোচনা করো।

উত্তর: ভারতের বিদেশনীতির প্রধান নীতিসমূহ হল-

(i) জোটনিরপেক্ষতা: ভারতের বিদেশনীতির প্রধান স্তম্ভ হল জোটনিরপেক্ষতা। ভারতের বিদেশ নীতির জনক নেহরুর মতে, ভারত কোনো শক্তি জোটে অংশগ্রহণ না করে জোটনিরপেক্ষতার নীতি অবলম্বন করবে।

(ii) জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে সমর্থন: ভারতের পররাষ্ট্র নীতির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানো।

 (iii) সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা : ভারত সাম্রাজ্যবাদের নীতিকে সমর্থন করে না। ভিয়েতনাম, নিকারাগুয়া, প্যালেস্তাইন, ইরাক, আলজেরিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রে সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভারত সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

 (iv) বর্ণ ও জাতি বৈষম্যের বিরোধিতা : ভারত বরাবরই বর্ণ ও জাতি বৈষম্যের বিরোধিতা করেছে এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়েছে।

(v)নিরস্ত্রীকরণ: বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত নিরস্ত্রীকরণের ওপর গভীরভাবে আস্থা জ্ঞাপন করেছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ঃ ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে বিশ্বাসী। এই সব দেশের সঙ্গে যেম-কোনো সমস্যাই ভারত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার ওপর যথাসাধ্য চেষ্টা করে।

3. ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে -চিন যুদ্ধের ফলাফল আলোচনা করো।

উত্তর: নিম্নে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ভারত-চিন যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হল—

জাতীয় লজ্জা : চিন যুদ্ধে ভারতের দুর্বলতা জাতীয় লজ্জায় পরিণত হয় এবং একই সময়ে জাতীয়তাবাদী চেতনা গভীরভাবে জাগ্রত হয়।

উচ্চ পর্যায়ের সামরিক পদাধিকারী পদত্যাগ : এই ভারত-চিন যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ে উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন সামরিক পদাধিকারী হয় পদত্যাগ করেন বা স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি.কে.মেনন ক্যাবিনেটে থেকে পদত্যাগ করেন।

ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন : চিনের উদ্দেশ্য বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে না পারায় নেহরু প্রবলভাবে নেহরুর সমালোচিত হন এবং সেই সময়ে তার ভাবমূর্তি যথেষ্টভাবে ক্ষুণ্ন হয়।

সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব : সামরিকভাবে অপ্রস্তুতির কারণে নেহরু সরকার প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হয়।

কংগ্রেসি ব্যবস্থার সমস্যা ও তার পুনঃপ্রতিষ্ঠা

সঠিক উত্তরটি বেছে নাও :মান-1

1. উজবেকিস্তানের রাজধানীর নাম-(a)তাসখন্দ(b)ত্রিপোলি(c)মস্কো(d)লাহোর

উঃ(a) তাসখন্দ।

2. ইন্দিরা গান্ধির জন্য সমস্যা ছিল

(a) বিরোধী দল(b)খাদ্য সংকট(c) কংগ্রেসের সিন্ডিকেট(d)আন্তর্জাতিক রাজনীতি

উ: (c)কংগ্রেসের সিন্ডিকেট।

3. ‘অকংগ্রেসিবাদ’ কথাটি ব্যবহার করেছেন-

(a) রামমনোহর লোহিয়া(b) চৌধুরি চরণ সিং(c)জয়প্রকাশ নারায়ণ

(d)জওহরলাল নেহরু

উ: (a)রামমনোহর লোহিয়া।

4. 1969 খ্রিস্টাব্দে সিন্ডিকেট মনোনীত রাষ্ট্রপতি প্রার্থী—

(a) ভি. ভি. গিরি (b)রামমনোহর লোহিয়া(c)জাকির হোসেন (d)নীলম সঞ্জীব রেড্ডি

উ: (d) নীলম সঞ্জীব রেড্ডি।

5. মুখ্যমন্ত্রী যিনি বিহারে OBC সংরক্ষণ চালু করেন—

(a) করপুরি ঠাকুর(b) আন্নাদুরাই(c)ভি. ভি. গিরি

(d)রাজেন্দ্র প্রসাদ

উ: (a)করপুরি ঠাকুর।

6. আধুনিক কর্ণাটকের নির্মাতা হলেন—

(a) কে. কামরাজ(b)এস.নিজালিংগাপ্পা(c) ভি. ভি. গিরি(d)করপুরি ঠাকুর

উ: (b)এস. নিজালিংগাপ্পা।

নীচের প্রশ্নগুলি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও :

1. ভারত-পাক যুদ্ধ (1965)-এর সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?

উ: ভারত-পাক যুদ্ধ (1965)-এর সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী।

2. ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগানটি কে দিয়েছিলেন ?

উঃ শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগানটি দিয়েছিলেন।

3. ভারতের কোন্ প্রধানমন্ত্রীর তাসখন্দে মৃত্যু

উ: ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর তাসখন্দে মৃত্যু হয়।

4. ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ কার জনপ্রিয় স্লোগান ?

উ: ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জনপ্রিয় স্লোগান।

5. কোন্ দশককে ‘ভয়ংকর দশক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ?

উঃ 1960-এর দশককে ভয়ংকর দশক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

6. কোন্ সরকার ভারতীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয় ?

ঊ: ইন্দিরা গান্ধির সময়ে কংগ্রেস সরকার ভারতীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাস করে।

7. 10 দফা কর্মসূচি কী ?

ঊ: 1967 খ্রিস্টাব্দে ইন্দিরা গান্ধি প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়ে কংগ্রেসের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের আশায় 10টি সমাজতান্ত্রিক নীতিমালাকে বাস্তবে কার্যকরী করতে সচেষ্ট হয়।একেই 10 দফা কর্মসূচি বলে।

৪. প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে দল থেকে কে বহিষ্কার করেন ?

উ: প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে এস. নিজালিংগাপ্পা দল থেকে বহিষ্কার করেন।

9.ভারতের কোন্ প্রধানমন্ত্রী নিজ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন ?

উ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধি নিজ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন।

10. ‘নৃপতিদের ব্যয় নির্বাহ ভাতার বিলুপ্তিসাধন হল, রাজন্য পরিবারের সাথে বিশ্বাস- ঘাতকতার শামিল’—উক্তিটি কার ?

ঊ: প্রশ্নে প্রদত্ত উক্তিটি করেছেন মোরারজি দেশাই।

11. বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?

ঊ: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধি ।

12. কোন্ বিষয়ের সঙ্গে ‘আয়া রাম গয়া রাম’ কথাটি জড়িত ?

উ: দলত্যাগের সঙ্গে ‘আয়া রাম গয়া রাম’ কথাটি জড়িত।

13. বিবেক ভোট কী?

উ: দলীয় প্রভাব থেকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে স্ব-ইচ্ছায় নিজের ভোট প্রদান করাকে বিবেক ভোট বলে।

14. দলত্যাগ কী ?

ঊ: নির্বাচনে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহার করে জয়লাভ করার পর কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি যদি নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে নিজ দল ছেড়ে অন্য দলে (বিশেষত শাসক দলে যোগদানের ঘটনাকে দলত্যাগ বলে।

15. মোরারজি দেশাই কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ?

উ: মোরারজি দেশাই অবিভক্ত বোম্বাই রাজ্যের (মহারাষ্ট্র ও গুজরাট)মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর  মান –5

1. কংগ্রেস দলে ‘সিন্ডিকেট’ কথাটির অর্থকী ? সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর ভূমিকা কী ছিল ? -আলোচনা করো।

উ: সিন্ডিকেট কথার অর্থ : কংগ্রেস দলের প্রেক্ষাপটে সিন্ডিকেট বলতে এমন একটি গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে—যারা দলীয় সংগঠনের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখত।এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং তখনকার কংগ্রেস দলের সভাপতি কে কামরাজ। এই গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা ছিলেন—বোম্বাইয়ের এস কে পাতিল(বোম্বাই বর্তমানে মুম্বই), মহিশূরের (বর্তমানে কর্ণাটক) এস নিজালিংগাপ্পা, অন্ধ্রপ্রদেশের এন সঞ্জীব রেড্ডি এবং পশ্চিমবঙ্গের অতুল্য ঘোষ।

লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধি উভয়েই পরবর্তীকালে নিজেদের অবস্থান এই সিন্ডিকেটের সমর্থনের মাধ্যমে ধরে রেখেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে পরিচালিত প্রথম মন্ত্রীপরিষদে তাঁরাই ছিলেন সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। যে-কোনো ধরনের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাঁরাই ছিলেন প্রায় শেষ কথা বিভাজনের পর সিন্ডিকেটের নেতারাএবং তাদের অনুগত ব্যক্তিরা কংগ্রেস (ও)-তে থেকে যান।

তবে ইন্দিরা গান্ধির প্রভাবিত কংগ্রেস (আর) জনপ্রিয়তার পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়। এর ফলে 1971 খ্রিস্টাব্দের পর এইসব প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সদস্যরা ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁদের ক্ষমতা ও ভাবমূর্তি প্রায় সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলে।

ইন্দিরা গান্ধির কাছে বড়ো সমস্যা বিরোধী দল নয়, নিজ দলের প্রভাবশালী বিবাহ ও ক্ষমতাবান সদস্যদের নিয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট। এদের জন্য তাঁকে মানসিক ও কৌশলগতভাবে লড়তে হয়েছে। সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে ইন্দিরা গান্ধিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সিন্ডিকেট গোষ্ঠী ভূমিকা রেখেছিল।

** সিন্ডিকেট নেতারা আশা করেছিলেন যে, ইন্দিরা গান্ধি তাদের পরামর্শ অনুসারে কার্য করবেন কিন্তু ধীরে ধীরে ইন্দিরা গান্ধি দল ও সরকারের মধ্যে নিজের একটি স্বত ভাবমূর্তি ও অবস্থান গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন।তিনি ইচ্ছানুযায়ী দলের বাইরে থেকে পছন্দের ও বিশ্বাসী লোকদের পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেন। এইভাবে ধীরে ধীরে এবং অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তিনি তার বলয় থেকে সিন্ডিকেট গোষ্ঠীকে দূরে সরিয়ে দেন।

2.1970-এর দশকের প্রথম দিকে ইন্দিরা গান্ধি পরিচালিত সরকারের জনপ্রিয়তার পেছনে কী কী কারণ ছিল ?অথবা,কী কী পদক্ষেপের ফলে ইন্দিরা গান্ধি নারী হয়েও আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন আলোচনা করো।

উঃ1971 খ্রিস্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে ইন্দিরা সমর্থিত নতুন কংগ্রেস দলকে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়। এমতাবস্থায় ইন্দিরা গান্ধিকে বিশেষ কিছু সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়, যা ইন্দিরা গান্ধির জনপ্রিয়তাকে বৃদ্ধি করে।সেগুলি হল নিম্নরূপ:

[i] ইন্দিরা গান্ধি সচেতনভাবেই তার সমাজতান্ত্রিক পরিচয়কে কেন্দ্র করে উদ্যোগগুলি গ্রহণ করেন। নেহরুর আদর্শের মধ্যে যে-সমাজতান্ত্রিক ভাবনার উদয় হয়েছিল তা ইন্দিরা গান্ধি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।তাই তাঁর জনপ্রিয়তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।

[ii] ভূমিসংস্কার : ইন্দিরা গান্ধি নেত্রী হিসেবে রাজনীতির মধ্যমণি হয়ে ওঠার মূল কারণ বলা যেতে পারে তার ভূমিসংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ। এই সময়কালেই ইন্দিরা গান্ধি ভূমিসংস্কার সংক্রান্ত চলমান আইনগুলিকে সঠিকভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিশাল প্রচারাভিযান শুরু করেন।

[iii] জনমুখী কর্মসূচি : ইন্দিরা গান্ধির জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠার অন্যতম কারণ হিসেবে বলা যায়, তাঁর বিভিন্ন জনমুখী নীতি নির্ধারণ। 1967 খ্রিস্টাব্দে ‘দশ দফা’ কর্মসূচি ও 1975 খ্রিস্টাব্দে 20 দফা কর্মসূচি যা মূলত দারিদ্র্য দূরীকরণে সাহায্য করে।

[iv] ‘গরিবি হঠাও’ কর্মসূচি : ইতিবাচক কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি বিখ্যাত স্লোগান চালু করেন, তা ছিল ‘গরিবি হঠাও’। এর মাধ্যমে তিনি বঞ্চিত জনগণ, বিশেষ করে ভূমিহীন,শ্রমজীবী মানুষ, দলিত আদিবাসী, সংখ্যালঘু,মহিলা এবং বেকারদের সমর্থন আদায়ের জন্য বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

সবশেষে এ কথা বলতেই হবে যে, ইন্দিরা গান্ধির জনপ্রিয়তা তাঁর জনমুখী কর্মসূচি ও জনগণের প্রতি ভাবনা, ভালোবাসা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তার ব্যক্তিত্বকে আরও সুদৃঢ় করতে সাহায্য করেছে।

আঞ্চলিক প্রত্যাশা

1. কোন রাজ্যে হিন্দিকে সরকারি ভাষা ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে?

উত্তর: তামিলনাড়ু রাজ্য হিন্দিকে সরকারি ভাষা ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।

2. LOC কোন দুটি রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণ করে?

উত্তর: LOC-ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণ – করে।

3. পেরিয়ার শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: পেরিয়ার শব্দের অর্থ হল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি বা মহান মানুষ।

4. মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট কে গঠন করেন?

উত্তর: মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট গঠন করেন লালডেঙ্গা।

5. অপারেশন ব্লু স্টার কী?

উত্তর: ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির উগ্রপন্থীদের হাত থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের। সামরিক অভিযানের নাম অপারেশন ব্লু স্টার।

6. অমৃতসরে শিখদের পবিত্র মন্দিরের নাম কী?

উত্তর: অমৃতসরে শিখদের পবিত্র মন্দিরের নাম স্বর্ণমন্দির।।

7. All Party Hill Leaders Coference কবে হয়?

উত্তর: All Party Hill Leaders Coference —১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে হয়।

8. কোন রাজ্যের স্বতন্ত্র সংবিধান ছিলো?

উত্তর: জম্বু ও কাশ্মীর রাজ্যের স্বতন্ত্র সংবিধান ছিল।

58

9. সংবিধানের কত নং ধারায় কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা  ছিল?

উত্তর: সংবিধানের ৩৭০ নং ধারায় কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ছিল।

*২০১৯ সালে এই ধারা টি জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীর জম্মু ও লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।

10. ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে গোয়া কোন্ বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত হয় ?

উত্তর: ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে গোয়া পোর্তুগিজদের শাসন থেকে মুক্ত হয়।

11. চোগিয়াল কে ছিলেন?

উত্তর: সিকিমের রাজা

12. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার কাকে বলা হয়?

উত্তর:ভারতবর্ষকে

13. হরি সিং কে ছিলেন?

উত্তর: হরি সিং ছিলেন রাজন্য শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজা।

14.  ন্যাশনাল কনফারেন্স দল কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: ন্যাশনাল কনফারেন্স দল প্রতিষ্ঠা করেন শেখ মহম্মদ আবদুল্লা।

15. ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ মহম্মদ আবুদল্লা।

16. ভারতের সাথে জম্মু ও কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণের চুক্তিপত্র কে সম্মতি জ্ঞাপন করেন?

উত্তর: ভারতের সাথে জম্মু ও কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণেরচুক্তিপত্র মহারাজা হরি সিং সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

17. পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলকে কী বলে ঘোষণা করে?

উত্তর: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ বলে ঘোষণা করে।

18. আকালি দল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর:১৯২০ খ্রিস্টাব্দে

19. কবে নাগাল্যান্ড রাজ্য গঠিত হয়

59

উত্তর:১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে

20. ত্রিপুরা মেঘালয় ও মণিপুর কবে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা লাভ করে?

উত্তর: ত্রিপুরা,মেঘালয় ও মণিপুর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ২১ জানুয়ারি পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা লাভ করে।

21. কবে সিকিম ভারতের সাথে যুক্ত হয়?

উত্তর: ১৯৭৫:খ্রিস্টাব্দে

*সিকিম ভারতের ২৩ তম রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হয়

ভারতের রাজনীতির সাম্প্রতিক ঘটনাবলী

1. কার নেতৃত্বে মন্ডল কমিশন গঠিত হয়?

উত্তর: বিপি মন্ডলের নেতৃত্বে মন্ডল কমিশন গঠিত হয়।

2. কত খ্রিস্টাব্দে মন্ডল কমিশন রিপোর্ট পেশ করে?

উত্তর: ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে মন্ডল কমিশন রিপোর্ট পেশ করে।

 * তিনি বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

3. মন্ডল কমিশন OBC-দের জন্য কত শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলেন ?

উত্তর: মন্ডল কমিশন OBC-দের জন্য ২৭ শতাংশ | সংরক্ষণের কথা বলেন।

4. ভারতীয় জনতা পার্টি কবে গঠিত হয়?

উত্তর: ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়।

5. BSP দলের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর: BSP দলের প্রতিষ্ঠাতা হলেন কাশীরাম।

6.  কার নেতৃত্বে কেন্দ্রে প্রথম সংখ্যালঘু সরকার গঠিত হয়?

উত্তর: ভি পি সিং-এর নেতৃত্বে কেন্দ্রে প্রথম সংখ্যালঘু সরকার গঠিত হয়।

7. কবে শিখ বিরোধী দাঙ্গা হয় ?

উত্তর: ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে শিখ বিরোধী দাঙ্গা হয়।

60

8. বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) কবে গঠিত হয়?

 উত্তর:১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) গঠিত হয়।

9. ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হিসেবে কে ‘হিন্দুত্ব’-এর কথা বলেছেন?

উত্তর: ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হিসেবে বিনায়ক দামোদর সাভারকার ‘হিন্দুত্ব’ -এর কথা বলেছেন।

10. কবে মণ্ডল কমিশন প্রতিবেদন জমা দেয়?

উত্তর: ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে মণ্ডল কমিশন প্রতিবেদন জমা দেয়।

*এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন বিন্দেশ্বরী প্রসাদ মন্ডল।

 11. The Muslim Women (Protection of Rights on Devorce) Act কবে পাস হয়?

উত্তর: ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে The Muslim Women (Protection of Rights on Devorce) Act পাস হয়।

*বিজেপি এই ঘটনাকে অপ্রয়োজনীয় ছাড় এবং তোষণ বলে মন্তব্য করেছে।

12. ‘করসেবা’ কী?

উত্তর: ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে রাম মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্যে পুণ্যার্থী কর্তৃক স্বেচ্ছামূলক অর্থ প্রদান করার ব্যবস্থাই করসেবা নামে পরিচিত।

13.“BAMCE’-এর সম্পূর্ণ নাম কী?

উত্তর: ‘BAMCE’ -এর সম্পূর্ণ নাম Backward And Minority Communities Employees.

*এটি 1978 খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়

14. DS-4 কী?

উত্তর: DS-4 হল দলিতদের একটি সংগঠন, যার সম্পূর্ণ নাম হল Dalit Shoshit Samaj Sangharsh Samiti (দলিত শোষিত সমাজ সংঘর্ষ সমিতি)।

15.  প্রথম অনগ্রসর শ্রেণির কমিশন কবে, কার নেতৃত্বে গঠিত হয়?

উত্তর: ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে কাকা কালেলকরের নেতৃত্বে প্রথম অনগ্রসর শ্রেণির কমিশন গঠিত হয়।

16. UPA এবং NDA কবে গঠিত হয়?

উত্তর: UPA এবং NDA গঠিত হয় যথাক্রমে ২০০৪ এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে।

61

17. কবে জাতীয় সংহতি পরিষদ গঠিত হয়?

উত্তর : ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সংহতি পরিষদ গঠিত

18. NDA সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: NDA সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী।

উত্তর: ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে।

19. ভারতের নয়া শিল্প ও নীতি কবে ঘোষণা করা হয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *